ধনকুবের ‘চাক ফিনি’, জীবদ্দশায় বিলিয়ে দিলেন ৮ মিলিয়ন ডলার!

হাতে ইলেকট্রনিক ঘড়ি। পরনে সাধারণ শার্ট। ছোটখাটো রেস্তোরাঁয় বসে খান। আর পাঁচটা মধ্যবিত্ত যেমন গাড়িতে চড়ে, ইকোনমি ক্লাসে বিমানে চড়ে তেমনটাই করেন আইরিশ-আমেরিকান ব্যবসায়ী চার্লস চাক ফিনি। আর ঠিক সেই কারণে কেউ জানতেই পারেননি  তিনি যে হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক। আর যতদিনে বুঝেছিলেন তাঁকে ততদিন নিঃশব্দে, নীরবে অর্জিত ধন বিলিয়ে গিয়েছেন তিনি দেশ-দশ ও বিশ্বের কল্যাণে।

তাঁর দানের অর্থে স্কুল হয়েছে, হাসপাতাল উঠেছে, লোকে চাকরি পেয়েছেন। ৮৯ বছরের ধনকুবের তাঁর রোজগারের ৮ মিলিয়ান ডলার বিলিয়ে দিলেন জনসেবায়।এমন খবর প্রকাশ্যে আসতেই সকলের মাথা ঘুরে গিয়েছে।

৮ মিলিয়ন ডলার, ভারতীয় মুদ্রায় আটের পিছনে কতগুলো শূন্য বসতে পারে ভাবতে গেলেও মাথা ঘুরে যাবে। অথচ হাজার হাজার কোটি টাকা বিলিয়েও তা নিয়ে কোনও অহং বোধ নেই চাক ফিনির।বরং আত্মত্যাগেই জীবনের সারসত্য খুঁজে পেয়েছেন তিনি। পেয়েছেন শান্তি। যা অর্থের চেয়েও দামি।

ধন কুবের চাক ফিনির সংস্থা ‘আটলান্টিক ফিলানথ্রপিস’।জীবনের উপান্তে এসে তাঁর শেষ সঞ্চয়ও দিয়ে দিয়েছেন সংস্থায়। যাতে বিশ্বজুড়ে উন্নয়ন কর্মযজ্ঞ চলতে পারে। দেশের নেতা-মন্ত্রীদের সঙ্গে দেখা করে উন্নয়নের স্বার্থে অকাতরে দিয়ে গিয়েছেন টাকা। কখনও কেউ জানতেও পারেনি।

আরও খবর : কমার্শিয়াল পার্টনারের সঙ্গে ১৪ কোটির চুক্তি! দেবীপক্ষে লক্ষ্মীলাভ বাংলা ফুটবলে

চাক ফিনি একসময় ব্যবসা শুরু করেছিলেন অল্প পুঁজিতে। কঠোর পরিশ্রমে সেই ব্যবসা ছড়িয়ে দেন বিশ্বের বহু দেশে। চাকরি হয় বহু মানুষের। অল্প সময়ে মোটা টাকা আয় করে চাইলেই বিলাস, বৈভবে ডুবতে পারতেন। কিন্তু করেননি। জীবনের শুরুর দিকে মহত্ উদ্দেশে যে  কোটি কোটি টাকা দিয়েছেন তিনি তা কেউ জানতেই পারেনি। অনেক পরে তাঁর দাতা কর্ণ স্বভাবের কথা প্রকাশ্যে এসেছে।

চার্লস চাক ফিনির অর্থে উত্তর আয়ারল্যান্ডে প্রভূত উন্নতি হয়েছে। তাঁর দেওয়া অর্থের মধ্যে ৩.৭ বিলিয়ন ডলার গিয়েছে শিক্ষার প্রসারে, ১ বিলিয়ন ডলার দিয়েছেন আলমা মার্টের কর্নেল মিউজিক লাইব্রেরির জন্য। সান ফ্রান্সিসকোর গ্লোবাল ব্রেন হেলথ ইনস্টিটিউট অফ ক্যালিফোর্নিয়া ইউনিভার্সিটির জন্য দিয়েছেন ১৭৬ মিলিয়ান ডলার। এভাবেই স্বাস্থ্য থেকে শিক্ষা, কর্মসংস্থানে দান করেছেন চাক ফিনি।

সর্বস্ব দিয়ে এখন সাধারণ একটি ফ্ল্যাটে অতি সাধারণভাবে জীবন কাটাচ্ছেন। সারা জীবন রোজগার করে সকলে শেষ বয়সে একটু আরাম করতে চান, বিলাসের জীবন চান তখন সমস্ত ধন বিলিয়ে শান্তিতে ডুবেছেন চাক ফিনি। আর তাতেই তিনি তৃপ্ত। চান, সকলেই এগিয়ে আসুক মহত্ কাজে। রোজগারের একাংশ নয়, বেশিরভাগটাই দেশ ও দশের জন্য দিয়ে দিক সকলে সেটাই চান ধন কুবের।

 

 

Previous articleআসল-নকল চেনা দায়! সুশান্তের মূর্তি বানিয়ে তাক লাগলেন আসানসোলের মোম শিল্পী
Next article২০০০ টাকার নোট ছাপায় সায় ছিল না মোদির! ফাঁস প্রাক্তন আমলার