বিশ্বভারতী পরিদর্শন করতে শান্তিনিকেতনে ৪ সদস্যের তদন্ত কমিটি

বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচিল কাণ্ডের পরিদর্শন করতে রবিবার বিশ্বভারতীতে পৌঁছলেন ৪ সদস্যের প্রতিনিধি দল। চলতি সপ্তাহে কলকাতা হাইকোর্ট এই ৪ সদস্যের কমিটি তৈরি করে। এই কমিটির চেয়ারম্যান বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়, বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়, অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল ওয়াই জে দস্তুর ও অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত।

এদিন তাঁরা প্রথমে বিশ্বভারতীর মেলার মাঠের গেট পরিদর্শন করেন। এই গেটই ১৭ অগাস্ট ভাঙা হয়। একইসঙ্গে মেলার মাঠ পরিদর্শন করেন। বিশ্বভারতীর উপাচার্যের দফতরে এই তাঁরা বৈঠক করেন।এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বীরভূমের জেলা শাসক মৌমিতা গোদরা এবং জেলা পুলিশ সুপার শ্যাম সিং এবং বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। দেড় ঘণ্টা ধরে এই বৈঠক চলে। বৈঠক শেষে বিশ্বভারতী একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারি জরে। তারা জানায়, কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিশ্ববিদ্যালয়ের মান অক্ষুন্ন রাখা হবে। আগামী দিনে শান্তিনিকেতন তথা বিশ্বভারতীতে সমস্যা সৃষ্টি হলে তা তথ্য আদান-প্রদানের মাধ্যমে একযোগে সমাধানের চেষ্টা করবে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ ও বীরভূম জেলা প্রশাসন।

প্রসঙ্গত, ঘটনার সূত্রপাত অগাস্ট মাসে। শান্তিনিকেতনে পৌষমেলার মাঠে পাঁচিল দেওয়া নিয়ে শুরু হয় অশান্তি। পাঁচিল দিয়ে ঘিরে ফেলার প্রতিবাদে আন্দোলনের নামে স্থানীয়রা। সেই নিয়ে অশান্তি চরমে পৌঁছয়। নির্মাণ কাজ করতে উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী মাঠে পৌঁছন। প্রতিবাদে জড়ো হন স্থানীয়রা। উল্টে দেওয়া হয় নির্মাণ সরঞ্জাম। এরপর জেলা শাসক বৈঠকের জন্য উপাচার্য সহ কর্তৃপক্ষকে ডাকলেও তাঁরা উপস্থিত হননি। উপরুন্তু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে ‘বহিরাগত’ বলেছেন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। তা নিয়ে শুরু হয় বিতর্ক। আসরে নামে আদালত। বিশ্বভারতীর ঐতিহ্য রক্ষায় হাইকোর্টই স্বতঃপ্রণোদিত মামলা করে। সমাধান সূত্র খুঁজতে কমিটিও গঠন করে হাইকোর্ট।

আরও পড়ুন- কেন্দ্রের শর্ত মেনে সোমবার থেকে স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত একাধিক রাজ্যের

Previous articleকেন্দ্রের শর্ত মেনে সোমবার থেকে স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত একাধিক রাজ্যের
Next articleসাইবার হামলা চালিয়ে ভ্যাকসিনের তথ্য চুরির অভিযোগ চিনের বিরুদ্ধে