জাগলিংয়ে বিশ্বরেকর্ডধারী মনোজ আজও দিন বদলের স্বপ্ন দেখেন

মাথায় ফুটবল নিয়ে কলকাতার তালতলা মাঠে ৪৯.১৭ কিমি হেঁটেছেন। এভাবেই গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নাম তুলেছেন তিনি। পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ার তিলাগেড়িয়া গ্রামের মনোজ মিশ্র এরপর মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হন একটা চাকরির জন্য। প্রতিশ্রুতি মিললেও জোটেনি চাকরি।

আরও পড়ুন- Big Breaking: স্নাতক স্তরের পরীক্ষার জন্য ২ ঘণ্টা সময় বরাদ্দ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের
বারবার কালীঘাট, নবান্ন ও ক্রীড়া দফতর হয়ে ঘুরে ঘুরেও শিকে ছেঁড়েনি এই বিশ্বরেকর্ডের অধিকারীর।
বিপিএল পরিবারভুক্ত এই মানুষটি পূজার্চনা করেই উপার্জন করেন। আর ফুটবলের কসরত দেখিয়ে বিশ্বরেকর্ড করেন।
লক্ষ্য ছিল ফুটবলার হওয়া। একসময় কলকাতা লিগে মৌড়ি স্পোর্টিং ক্লাবের হয়ে খেলতেন। কিন্তু টাকা আয়ের জন্য গুজরাটের একটি প্লাস্টিক কারখানায় লেবারের কাজ শুরু করেন। সেখান থেকে ফের মুম্বাইয়ের দাদারে পাড়ি। ছোটদের ফুটবল খেলা শেখাতেন। এখানে খেলতে গিয়েই পায়ে চোট লাগে। খেলা ছেড়ে দিয়ে নেমে পড়েন ফুটবল জাগলিংয়ে। গড়ে ফেলেন ১০ টি বিশ্বরেকর্ড!

আরও পড়ুন- নিউ নর্মালে হাতের ছোঁয়া নেই ফুচকায়, ভাইরাল অভিনব আবিষ্কারের ভিডিও
একসময় তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রার্থী হয়েছেন। ভোটের প্রচারে তৃণমূলের নেতানেত্রীদের সঙ্গে ফুটবল জাগলিং দেখিয়ে মানুষের নজর টেনেছেন। খোদ মুখ্যমন্ত্রীর সামনে নেতাজী ইণ্ডোর স্টেডিয়ামেও ফুটবল শো করেছেন। কিন্তু দিন বদলায় নি। গত রবিবারই এক মিনিটে ৭৯ বার ঘাড়ে বল ঘুরিয়েছেন গিনেস বুকে নাম তুলতে। তাঁর এই রেকর্ডটি হল Most Football Shoulder Roll More Than 79 Times In One Minute। আগের বিশ্বরেকর্ড আছে ইটালির ডেনিল কাটিংয়ের এক মিনিটে ৬৯ বার কাঁধের মধ্যে ফুটবল ঘোরানো।

আরও পড়ুন- কেন্দ্রের কৃষি বিলের প্রতিবাদে ২৫শে রাজ্যে ৪ ঘণ্টা সড়ক অবরোধ
আগামী ১১ অক্টোবর ফের তিনি নামবেন আর‌ও একটি বিশ্বরেকর্ড গড়ার জন্য। এবার তাঁর বিষয়  ‘Most Football Arm Chest Arm More Than 141 Times। এরপর আগামী ৮ নভেম্বর মাথায় ফুটবল নিয়ে সাইকেলে দীর্ঘতম দূরত্ব অতিক্রম করার রেকর্ডের জন্য জোরকদমে অনুশীলন করছেন মনোজ মিশ্র। মাথায় ফুটবল নিয়ে ৬১ কিমি সাইকেল চালাতে চান তিনি।
কিন্তু আজও দারিদ্রতা তার পিছু ছাড়ে নি। মনোজ মিশ্র জানান, ২০১৬ সালে স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসকে স্পোর্টস কোটায় চাকরি দিতে বলেন তাঁকে। আজও জোটেনি চাকরি। বারবার প্রতিশ্রুতি আর আশ্বাস দিয়ে তাঁর মন ভোলানোর চেষ্টা করেছে সবাই‌। অভিমানের সুর তার গলায় । তবু দিন বদলের স্বপ্ন দেখেন বিশ্বরেকর্ডধারী।

Previous articleসেই অবিভাজ্য জুটি এবার আর্ত মানুষের পাশে
Next article দুই দলীয় সাংসদের সাসপেনশনের ঘটনার তীব্র নিন্দা তৃণমূল সাংসদদের