কৃষকদের নতুন আতঙ্ক, ধান বিক্রি হবে তো!

লাগাতার বৃষ্টিতে ভালো ফলনের আশায় দিন গুনছিলেন কৃষকরা। আবহাওয়া হাসি ফুটিয়েছিল তাঁদের মুখে। কিন্তু এবার নতুন আশঙ্কা। আদৌ ধান বিক্রি হবে কি না তা নিয়ে নিশ্চিত হতে পারছেন না চাষিরা। কৃষি দফতরের ধারণা, কোচবিহারে এ বার রেকর্ড ধানের ফলন হবে।

প্রশাসন সূত্রের খবর, এ বার সরকার ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা বাড়াতে পারে। আর কোন পদ্ধতিতে দাম ধরে রাখা যায় তা নিয়ে ভাবনা চিন্তা শুরু করেছে প্রশাসন। কৃষি দফতর সূত্রে খহবর, কোচবিহার জেলায় ২ লক্ষ হেক্টরেরও বেশি জমিতে ধান হয়। কোনও বছর কম বৃষ্টি হলে সেচের জন্য পাম্পসেটই ভরসা। এবছর সেই প্রস্তুতিও নেওয়া শুরু করেন কৃষকরা। তবে পর্যাপ্ত পরিমাণ বৃষ্টি হওয়ায় পাম্পের প্রয়োজন হয়নি। কৃষি দফতরের এক আধিকারিক জানান, ‘‘বৃষ্টির জলেই চাষের কাজ হয়েছে। আলাদা জল লাগেনি।’’ জেলার কৃষি আধিকারিক অরুণ বসু বলেন, “ ধান চাষের জন্য যথেষ্ট পরিমাণ জল পাওয়া গিয়েছে। এবছর ধানের উৎপাদন অনেকটাই বেশি হবে।’’ জেলার সহকারী কৃষি আধিকারিক রজত চট্টোপাধ্যায়ের কথায়, প্রতি বিঘা জমিতে ২ থেকে ৩ মণ ধান বেশি হতে পারে।

কোচবিহার জেলায় ধান বিক্রি নিয়ে হয়রানির অভিযোগ অনেক পুরনো। বিভিন্ন গ্রামে ফড়েরা সক্রিয়। নগদ টাকার টোপ দিয়ে কৃষকদের কাছ থেকে কম দামে ধান কিনে নিয়ে যায় ফড়েরা। একাংশের কৃষকদের অভিযোগ, সরকারি ভাবে ধান বিক্রির জন্য প্রশাসন-নির্দিষ্ট জায়গায় যেতে হয়।চলতি বছর ধানের ফলন বেশি হওয়ায় কপালে চিন্তার ভাঁজ কৃষকদের। এই সমস্যা দূর করতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে। আগেও সমবায় ও স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যদের মাঠে নামিয়ে ধান কেনা হয়েছে। প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘কৃষকদের সমস্যা দূর করতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

আরও পড়ুন-আরও ১৯ জনের খোঁজে গোয়েন্দারা, সুফিয়ানের বাড়িতে তৈরি হতো লকেট লঞ্চার!

Previous article৫৫ বছর পর টানা সাতদিন চাঁদের মাটিতে থাকবেন মহাকাশচারীরা, রয়েছেন এক মহিলাও
Next articleমানালিতেই হানিমুনের প্ল্যান সদ্য বিবাহিত মানালি-অভিমন্যুর