আরও ১৯ জনের খোঁজে গোয়েন্দারা, সুফিয়ানের বাড়িতে তৈরি হতো লকেট লঞ্চার!

আল কায়েদা জঙ্গিদের জেরায় বিস্ফোরক ও আতঙ্কের খবর। শুধু ৯ জন জঙ্গি নয়, রাজ্যে কিংবা রাজ্যের বাইরে আরও ১৯ জঙ্গি গা ঢাকা দিয়ে রয়েছে। তাদের খোঁজ কোথায় পাওয়া যেতে পারে, তা বাকিদের জেরা করে অনুসন্ধান চলছে। এনআইএ-র গোয়েন্দারা মুর্শিদাবাদের পুলিশ কর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। কারণ, এই ১৯ জন মুর্শিদাবাদ, ডোমকল, রানিনগরের বাসিন্দা।

অন্যদিকে মুর্শিদাবাদের রানিনগরের আবু সুফিয়ানের বাড়িটি ছিল জঙ্গিদের অস্ত্র তৈরির কারখানা। সুফিয়ানের বাড়ির লোকজন বাড়ির সুরঙ্গ আসলে বাথরুম তৈরির জন্য বললেও জেরায় আসল সত্য বেরিয়ে আসছে। গোয়েন্দারা দুদিন আগে সুফিয়ানের বাড়ি থেকে লেদ মেশিন বাজেয়াপ্ত করেছে। সুফিয়ান জেরায় জানিয়েছে, ওই লেদ মেশিন দিয়েই রকেট লঞ্চার তৈরি করা হতো। সেই রকেট লঞ্চার দিয়ে দ্রুত নাশকতার পরিকল্পনা ছিল বলে জানিয়েছে সুফিয়ান। গ্রামের বাড়িতে উঁচু পাঁচিল দেওয়াও যে অস্ত্রাগার লুকিয়ে রাখার জন্য, সেটাও জানিয়েছে সে। উত্তর ভারত থেকে সে প্রশিক্ষণও নিয়ে আসে।

জঙ্গিদের এইসব কাজের জন্য টাকা আসত কোথা থেকে? জঙ্গিরা জানাচ্ছে, মূলত সীমানা পেরিয়ে জাল নোট আসত। ধরা না পড়লেই সন্ত্রাসী কাজের জিনিস কেনা হতো, প্রশিক্ষণের কাজে ব্যবহার করা হতো।

জঙ্গিরা নেটওয়ার্ক বাড়াতে সোশ্যাল মিডিয়াকে ব্যবহার করতো। জিহাদের ভিডিও ছেড়ে কারা সেটিকে পছন্দ করত তার তালিকা তৈরি করে ব্যক্তিগতভাবে যোগাযোগ চলত। তার মধ্যে থেকে বাছাই করে হোয়াটসঅ্যাপে মেম্বার করে চলত মগজ ধোলাই। প্রাথমিকভাবে জঙ্গিরা জানিয়েছিল তাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে ২২জন সদস্য ছিল। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে সংখ্যাটা অনেকটাই বেশি।

জঙ্গিদের উদ্যোগে মাদ্রাসার মধ্যেই অনেক সময় প্রশিক্ষণ দেওয়া হতো। বাছাই পড়ুয়দেরও অনেক সময় মাদ্রাসার ক্লাসে নেওয়া হতো। আসলে মাদ্রাসায় সহানুভূতিশীল ব্যক্তিদের চার্জড আপ করা হতো। মাদ্রাসাগুলি ছিল জনসংযোগের মাধ্যম।

আরও পড়ুন-আল কায়েদা-জামাত যোগ স্পষ্ট, চিরুনি তল্লাশি খাগড়াগড়ের সালাউদ্দিনের খোঁজে

Previous articleপ্রায় ৩ শতাংশ কমল সোনার দাম, পড়ল রুপোও
Next articleভোটের লক্ষ্য স্থির করতে নাড্ডার সঙ্গে বাংলার বিজেপি নেতাদের বৈঠক