দিল্লি হিংসার চার্জশিটে এবার সলমন খুরশিদ, বৃন্দা কারাতের নাম

দিল্লি হিংসার চার্জশিটে এবার নাম প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সলমন খুরশিদ এবং সিপিআইএম নেত্রী বৃন্দা কারাতের। ১৭ সেপ্টেম্বর কড়কড়ডুমা আদালতে দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল সর্বশেষ যে চার্জশিটটি পেশ করে, তাতে উমর খালিদ ও নাদিম খানের মতোই এই দুজনের বিরুদ্ধে প্ররোচনামূলক বক্তৃতা দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।

পুলিশের অভিযোগ, ফেব্রুয়ারিতে সিএএ বিরোধী আন্দোলনে যোগ দিয়ে একাধিক সভায় সিপিআইএম নেত্রী বৃন্দা এবং কংগ্রেস নেতা খুরশিদ উস্কানিমূলক মন্তব্য করেন। একই অভিযোগ উত্তর-পশ্চিম দিল্লির প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ উদিত রাজের বিরুদ্ধেও। তিনি ২০১৯-এর লোকসভা ভোটের আগেই বিজেপি ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দেন।

সূত্রের খবর,  উত্তর-পূর্ব দিল্লির প্রাক্তন কংগ্রেস কাউন্সিলর ইশরাত জহান এবং অন্য এক ‘সংরক্ষিত’ সাক্ষীর বয়ান উদ্ধৃত করে চার্জশিটে বলা হয়েছে, খুরশিদ, বৃন্দা এবং উদিত বিভিন্ন সময় সিএএ বিরোধী সভায় এমন মন্তব্য করেছেন, যা দিল্লিতে হিংসা ছড়ানোর ক্ষেত্রে অনুঘটক হিসেবে কাজ করেছে।
১৭ হাজার পাতার চার্জশিটে দিল্লি হিংসার মূল অভিযুক্ত হিসেবে ১৫ জনকে অভিযুক্ত করা হয়। হিংসার ঘটনায় প্রত্যক্ষ ভাবে জড়িত থাকার অভিযোগে তাঁদের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইন (ইউএপিএ) এবং অস্ত্র আইনের একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করেছে দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল। সেই তালিকায় রয়েছেন সাসপেন্ডেড ‘আপ’ কাউন্সিলর তাহির হুসেন। এ বার সাপ্লিমেন্টরি চার্জশিটে অন্তর্ভুক্ত করা হল খুরশিদ ও বৃন্দার নাম।

আরও পড়ুন- ফিট থাকতে দিনে অন্তত আধঘণ্টা সময় দিন, ফিট ইন্ডিয়ার বর্ষপূর্তিতে বার্তা মোদির
সাক্ষীদের বয়ান আদালতের বিশ্বাসযোগ্য করে তোলার জন্য ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারা মেনে এক জন ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে তা নথিভুক্ত করেছে তদন্তকারী সংস্থা। সেই বয়ানের সত্যতা পরীক্ষা করা হয়েছে বলেও দাবি করা হয়েছে চার্জশিটে। ইশরাত জানান, তিনি এবং জামিয়া সমন্বয় কমিটির খালিদ সাইফি দীর্ঘদিন ধরে সিএএ বিরোধী আন্দোলন চালানোর জন্য চলচ্চিত্র নির্মাতা রাহুল রায় এবং দলিত সংগঠন ‘ভীম আর্মি’র নেতা হিমাংশু ও চন্দন কুমারকেও বিভিন্ন সময়ে প্রতিবাদ সভায় ডেকে এনেছিলেন।
চার্জশিটে নাম থাকার খবর সামনে আসার পরেই দিল্লি পুলিশকে নিশানা করে কংগ্রেস নেতা সলমন খুরশিদ বলেন, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নিয়ন্ত্রণাধীন দিল্লি পুলিশ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে এই পদক্ষেপ করেছে। তাঁর প্রশ্ন, “দিল্লি পুলিশের কাছে জানতে চাই, আমার কোন বক্তৃতায় হিংসা ছড়ানোর উস্কানি ছিল?’’। তবে এখনো এ বিষয়ে সংবাদমাধ্যমকে কিছু জানাননি সিপিআইএম নেত্রী বৃন্দা কারাত।

আরও পড়ুন- লন্ডনের আদলে তিলোত্তমার বুকে এবার অভিনব ট্রাম লাইব্রেরি

Previous articleলন্ডনের আদলে তিলোত্তমার বুকে এবার অভিনব ট্রাম লাইব্রেরি
Next articleকরোনার ভ্যাকসিন ঠিক কাজ করবে এমন গ্যারান্টি দেওয়া যাচ্ছে না: আধানম