দ্বিশত জন্মবার্ষিকীতেই শুরু তাঁর নামাঙ্কিত অ্যাকাডেমির কাজ, হবে লাইব্রেরি ও মিউজিয়ামও

করোনা আবহে, স্বাস্থ্যবিধি মেনেই পালিত হল ইশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের দ্বিশত জন্মবার্ষিকী। অন্যবারের মত সম্পূর্ণটা মঞ্চে নয়। এবারের অনুষ্ঠানে অর্ধেকের বেশি অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন ভার্চুয়ালি। এদিন বিদ্যাসাগরের উত্তর কলকাতার বাড়িতে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। উপস্থিত ছিলেন বহু বিশিষ্ট জনেরা।
প্রসঙ্গত, গত বছর, বিদ্যাসাগর কলেজে নতুন করে মূর্তি স্থাপন করে বিদ্যাসাগরের ২০০ বছর উপলক্ষে একটি মিউজ়িয়াম বা সংগ্রহশালা গড়ার কথা বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবছর ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের জন্ম দিন থেকেই শুরু হল বিদ্যাসাগর অ্যাকাডেমি তৈরির কাজ। উত্তর কলকাতার যে বাড়িতে বিদ্যাসাগর থাকতেন সেখানেই শুরু হয়েছে অ্যাকাডেমি তৈরির কাজ।  এদিন শিক্ষামন্ত্রী বলেন, অ্যাকাডেমির কাজ আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য, সেখানে একটি লাইব্রেরি, একটি আর্কাইভ ও একটি মিউজিয়াম বানিয়ে দেওয়া হবে।

কী থাকবে সেখানে?
ইশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের লেখা বই, তাঁর সময়কাল নিয়ে লেখা বই ও পত্রিকার একটি বিরাট সংগ্রশালা হবে এই লাইব্রেরিটি।
বিদ্যাসাগরকে লেখা ও বিদ্যাসাগরের লেখা চিঠিপত্র সংরক্ষিত থাকবে আর্কাইভে।
মিউজিয়ামে থাকবে তাঁর ব্যবহৃত নানান নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র।

কেন এমন উদ্যোগ?
শিক্ষামন্ত্রী জানালেন, ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যাতে এই মহাপুরুষের কাজ সম্পর্কে আরঽও জানতি পারে, তাঁর কাজ সম্পর্কে আও উৎসাহিত হয়, তার জন্যই রাজ্য সরকারের তরফে এমন প্রয়াস। তবে পাশাপাশি তিনি এও জানিয়েছেন, যদি কেউ বিদ্যাসাগরের জীবন নিয়ে গবেষণা করতে চান, তবে রাজ্য সরকার পাশে থাকবে।
এর সাথেই রাজ্য সরকারের তরফে গঠন করা হচ্ছে একটি উন্নয়ন পর্ষদ। বিদ্যাসাগরের জন্মস্থান বীরসিংহ গ্রামে এই উন্নয়ন পর্ষদ গঠন করা হবে। শুধু তাই নয়, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদ্যাসাগরের একটি পূর্ণাবয়ব ব্রোঞ্জের মূর্তি তৈরির বরাতও দেওয়া হয়।
তবে এদিন শিক্ষামন্ত্রীর ভাষণে আরও একবার ফিরে এল গত বছরের মূর্তি ভাঙার প্রসঙ্গ। উল্লেখ্য, গত বছর নির্বাচনী প্রচারে এসেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সেই মিছিল চলাকালীন একদল দুষ্কৃতী কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে ঢুকে বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙ্গে। এই ঘটনায় গোটা রাজ্য জুড়ে নিন্দার ঝড় বয়ে যায়। যদিও অতি দ্রুততার সঙ্গে নতুনভাবে মূর্তি স্থাপন করা হয় রাজ্য সরকারের উদ্যোগে।
এদিন আরও একটি ঘোষণা করেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তিনি জানান, এবছর রাজ্যজুড়ে একটি সায়েন্স অলিম্পিয়াডের আয়োজন করা হবে। জয়ী ছাত্র বা ছাত্রীকে ২ বছর ধরে ১০০০ টাকা করে দেওয়া হবে। বিদ্যালয়ের বিজ্ঞানকে আরও উন্নতমানের করতেই এমন উদ্যোগ বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী।

আরও পড়ুন- ড্রাগ নিতেন সুশান্তই, প্রয়াত অভিনেতার ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে দায়সারা শ্রদ্ধা-সারা

Previous articleড্রাগ নিতেন সুশান্তই, প্রয়াত অভিনেতার ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে দায়সারা শ্রদ্ধা-সারা
Next articleকরণ জোহরের হাউস পার্টির ভিডিও প্রকাশ্যে, নিউজ চ্যানেলগুলিকে একহাত নিলেন জাভেদ আখতার