রাহুলকে মুকুলের ‘পুল্টিস’– উনি বাংলার মুখ! ফুঁসছেন অপমানিত রাহুল শিবির

সে ছিল সোনায় মোড়া দিন

বাংলার মুখ রাহুল সিনহা! রাহুলের ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র গায়ে এসে পড়েছে শনিবার রাতেই। আর সেই ‘বাণ’কে নির্বিষ করতে রাহুল সিনহাকে ‘মহান’ সাজানোর কূটনৈতিক চাল চাললেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি মুকুল রায়। কিন্তু তাতে যে ভবি ভোলার নয়, তা স্তব্ধতার গান শুনিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছেন রাহুল সিনহা। যদিও দলের পদ পাওয়ার পর প্রথম বিবৃতিতেই মুকুল রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের বক্তব্যের উল্টো পথে হাঁটলেন। দিলীপ গতকাল ‘এখন বিশ্ববাংলা সংবাদ’-এর সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে বাদ পড়া মানেই দলের বাইরে নয়। যার এ নিয়ে ভাবার তাঁরা নিশ্চই ভাববেন।

আরও পড়ুন– ট্রায়াল শেষ না করেই বেআইনিভাবে হাজার হাজার মানুষকে করোনার টিকা দিচ্ছে চিন!

ঘটনার সূত্রপাত শনিবার দুপুর। মুকুল রায়, অনুপম হাজরা আর রাজু বিস্ত বিজেপির সর্বভারতীয় পদ পান এবং বাতিলের খাতায় ফেলে দেওয়া হয় রাহুল সিনহাকে। ক্ষুব্ধ রাহুল সেই সন্ধ্যাতেই ভিডিও পোস্ট করে তোপ দাগেন, ৪০ বছর দলের সেবা করার পুরষ্কার পেলাম। তৃণমূল থেকে আগত নেতাদের জায়গা করে দিতে আমায় বাদ দেওয়া হলো। আগামী ১০-১২ দিনের মধ্যে আমার সিদ্ধান্ত জানাব। ঘটনা হলো রাহুলের রাগ যে মুকুল-অনুপম-রাজুর মতো তৎকাল বিজেপির বিরুদ্ধে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। লক্ষ্যণীয় হলো, দায়িত্ব নিয়েই অনুপমরা দলীয় কোন্দলের মাঝে পড়েছেন। গতকাল বারুইপুর রণক্ষেত্র হয় বিজেপির গোষ্ঠী কোন্দলে। বসিরহাটও উত্তপ্ত। আর মুকুল গিয়েছিলেন পুরুলিয়ায়। সেখানে ছিল দলীয় বৈঠক। তিনি বলেন, রাহুল সিনহা কোথায় কী বলেছেন জানি না। তিনি বাংলার মুখ। মজার বিষয় হলো, বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর মুকুল একদিনের জন্য রাহুলকে ‘বাংলার মুখ’ বলেননি। হঠাৎ এই স্তুতি কেন? আসলে মুকুল জানেন দলে রাহুল সিনহারও বহু অনুগামী রয়েছেন। তিনি দু’দুবারের রাজ্য সভপতি। তাঁর ক্ষুব্ধ সমর্থকরা যে আগামিদিনে বারুইপুরের মতো ঘটনা তাঁর সভাতেও ঘটাবেন না, তার গ্যারান্টি কোথায়? ফলে এখন চলছে ‘পুল্টিস’ দেওয়ার কাজ। একই চেষ্টা করেছেন রাজ্য দলের আর এক নেতা সায়ন্তন বসু। তিনি বলছেন, ছোট থেকে রাহুলদাকে দেখছি। রাহুলদা নেতা, বাংলার মুখ। তিনি কোন কমিটতে আছেন, সেটা বড় কথা নয়। আর অনুপম রাহুলদার সঙ্গে চা খাওয়ার কথা যেভাবে বলেছেন, তাতে রাহুল গোষ্ঠী ব্যাপক ক্ষুব্ধ। ফলে এক বদলেই রাজ্য বিজেপি এখন অস্বস্তির কাঁটা আর বারুদের স্তূপে। ‘কখন কী ঘটে যায় কিচ্ছু বলা যায় না!’

Previous articleপুরুলিয়ায় বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ প্রধান, উপ-প্রধানের! ঘাসফুলের দখলে পঞ্চায়েতও
Next articleরাজ্য প্রশাসনের সচিব পদে একাধিক রদবদল