বয়ানের পরে এবার ক্ষতিপূরণ নেওয়ার জন্য চাপ হাথরাসের দলিত পরিবারকে

সবার থেকে আলাদা করে হাথরাস নির্যাতিতার পরিবারকে লাগাতার বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছে উত্তরপ্রদেশের প্রশাসন। চাপের মুখে তাদের বারবার নিজেদের অবস্থান থেকে সরানোর চেষ্টা চলছে। অভিযোগের আঙুল উঠেছে জেলাশাসকের বিরুদ্ধে। পরিবারের অভিযোগ, জেলাশাসক তাঁদের বলেছেন, “এখনও সময় আছে, ভেবে দেখুন। আপনার মেয়ে যদি করোনায় মারা যেত, তাহলে কি ক্ষতিপূরণ পেতেন! এই মুহূর্তে যা পাচ্ছেন নিয়ে নিন। এরপর হয়তো এটাও পাবেন না।”

আবার প্রশাসনের তরফ থেকে কেউ এসে নিজেকে দলিত পরিচয় দিয়ে জানাচ্ছেন, যা পাওয়া যাচ্ছে ক্ষতিপূরণ বাবদ তা যেন নিয়ে নেয় নির্যাতিতার পরিবার। মিডিয়ার সামনে বলে দেয় তদন্ত ঠিকঠাকই চলছে।
কিন্তু হাথরাসের দলিত পরিবারের সদস্যদের দাবি, ক্ষতিপূরণ চাই না। মেয়ের মৃত্যুর জন্য বিচার চাই। যাঁরা নৃশংসভাবে খুন করেছে তাদের শাস্তি চাই।

নির্যাতিতার ভাইয়ের অভিযোগ, প্রশাসন তাঁদের ঘরবন্দি করে রেখেছে। পরিবারের সদস্যদের শৌচালয়ে যেতেও পুলিশের অনুমতি নিতে হচ্ছে। বাইরের কারও সঙ্গে কথা বলা তো দূর, ফোন ব্যবহার করতে দেওয়া হচ্ছে না। নজরবন্দি করে রাখা হয়েছে সবাইকে।

প্রশ্ন উঠছে, উত্তরপ্রদেশের প্রশাসন কোন তথ্য গোপন করার চেষ্টা করছে?
ইতিমধ্যে হাথরাসের জেলাশাসকের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেই ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, জেলাশাসক নির্যাতিতার পরিবারের লোকজনকে বয়ান বদলের জন্য চাপ দিচ্ছেন।
নির্যাতিতার বৌদির দাবি, তারা পুলিশের কাছে জানতে চেয়েছিলেন, কেন তাঁদের মেয়ের দেহ রাতের অন্ধকারে তাঁদের হাতে না দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হল? পুলিশ কোনও উত্তর দেয়নি। জেলাশাসককে বলেন, “তোমরা তো লেখাপড়া জানো না। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট নিয়ে কী করবে? আর ময়নাতদন্তের পরে তোমাদের মেয়ের মৃতদেহের অবস্থা ভাল ছিল না। সেটা দেখলে তোমরা আঁতকে উঠতে। তাই আমরা আর তোমাদের দেখাইনি।”
কিন্তু এই দাবি মানতে নারাজ, নির্যাতিতার পরিবার। আপাতত নির্যাতিতার গ্রাম ঘিরে রাখা হয়েছে। গ্রামে থেকে কাউকে বেরোতে বা ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।

আরও পড়ুন-‘গণতন্ত্রের গণধর্ষণ’, রাহুলকে সমর্থন করতে গিয়ে বিতর্কের মুখে সঞ্জয়

Previous articleথ্যাঙ্ক ইউ সো মাচ মিমি: একরাশ উপহার পেয়ে ‘বলল’ ইউভান
Next articleজানুয়ারিতেই দেশে করোনার প্রতিষেধক? ইঙ্গিত দিলেন গুলেরিয়া