সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে ২০২১ সালের জানুয়ারিতেই করোনার প্রতিষেধক আসতে পারে ভারতে। শুক্রবার এক সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানালেন অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সেস (এইমস)-এর ডিরেক্টর ডা. রণদীপ গুলেরিয়া। ভারতের মত বিপুল জনসংখ্যার দেশে প্রতিষেধক সরবরাহের কাজে যথেষ্ট চ্যালেঞ্জ আছে বলে উল্লেখ করেছেন তিনি। পাশাপাশি কোভিড প্রতিষেধক এদেশের বাজারে এলে প্রাথমিকভাবে তা কতটা সহজলভ্য হবে সে বিষয়েও সংশয় প্রকাশ করেছেন রণদীপ গুলেরিয়া।
ভারতে এখন করোনায় মৃত্যু সংখ্যা ১ লক্ষ ছোঁয়ার মুখে। সংক্রমণের মাত্রা দিন দিন বাড়ছে। অক্টোবরে সংক্রমণ আরও বাড়ার আশঙ্কা। তাই প্রতিষেধকের অপেক্ষায় গোটা দেশ। প্রতিষেধক সরবরাহ করতে গিয়ে যে বড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে, তা আগেই স্বীকার করেছেন গুলেরিয়া। জানিয়েছেন, কীভাবে টিকা সরবরাহ করা হবে, তা নিয়ে আলোচনা চলছে। এই বিষয়ে একটি মডেলের প্রসঙ্গও তুলে ধরেছেন গুলেরিয়া। তিনি বলেন, ‘যেখানে আগে জরুরি’ সেখানেই আগে দেওয়া হবে। এই মডেলেই কাজ পরিচালনার চিন্তাভাবনা চলছে। এই মডেল ব্যাখ্যা করে গুলেরিয়া আরও জানান, প্রাথমিকভাবে দুটি দলে ভাগ করে এই প্রতিষেধক দেওয়ার ব্যবস্থা হতে পারে। এর মধ্যে প্রথম দলে থাকবেন স্বাস্থ্যকর্মী এবং অন্যান্য কোভিড যোদ্ধা। অন্যদিকে যাঁদের মৃত্যুর ঝুঁকি অনেক বেশি, সে রকম মানুষ থাকবেন দ্বিতীয় দলটিতে। জরুরিভিত্তিক তালিকা তৈরি করে তা অনুসরণ করলেই প্রতিষেধক সরবরাহের ব্যবস্থা সহজ হবে বলে মত গুলেরিয়ার।
গুলেরিয়া বলেন, প্রতিষেধক দেওয়ার পর সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির শরীরে কোনও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হচ্ছে কিনা সেই বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করতে হবে। তিনি বলেন, প্রতিষেধক এলেও করোনা স্বাস্থ্য বিধি মেনে সচেতন থাকাটাই সবচেয়ে জরুরি। প্রতিষেধক নিয়ে নিলে স্বাস্থ্য বিধি না মানলেও চলবে, এই মনোভাব যেন না থাকে।
আরও পড়ুন-২০ কোটি টিকা বানাচ্ছে সেরাম, ভ্যাকসিনের সর্বোচ্চ দাম জানালো সংস্থা