হাথরাসে ডেরেককে রাস্তায় ঠেলে ফেলল যোগী পুলিশ, ধাক্কা মহিলাদেরও

derek, mamatabala thakur, kakali ghoshdastider

কংগ্রেসনেতা রাহুল গান্ধীকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেওয়ার পরের দিনই তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েনকে একই কায়দায় ধাক্কা মেরে মাটিতে ফেলে দিল যোগী সরকারের পুলিশ। মহিলা পুলিশ ছাড়াই ধাক্কা মারা হয় তৃণমূলের মহিলা প্রতিনিধিদেরও। শুক্রবার, তৃণমূল কংগ্রেসের একটি প্রতিনিধি দল হাথরাসে নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যেতে চায়। নির্যাতিতার বাড়ি থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে উত্তরপ্রদেশের পুলিশ তৃণমূল সাংসদ ও প্রাক্তন সংসদদের আটকে দেয়। প্রতিনিধি দলে রয়েছেন ডেরেক ও ব্রায়েন, কাকলি ঘোষ দস্তিদার, প্রতিমা মণ্ডল এবং মমতা ঠাকুর। এ বিষয়ে কারণ জিজ্ঞাসা করলে ডেরেক ও’ব্রায়েনের ওপর চড়াও হয় যোগী সরকারের পুলিশ। এমনকী মহিলা পুলিশ ছাড়াই মমতাবালা ঠাকুর এবং প্রতিমা মণ্ডলের হাত ধরে টানা হয়। এই ঘটনা দেখে এগিয়ে যান ডেরেক। তখনই তাঁকে সজোরে ধাক্কা মেরে মাটিতে আছড়ে ফেলে উত্তরপ্রদেশের পুলিশ। তৃণমূলের মহিলা প্রতিনিধিদের গায়ে হাত দেওয়া হয়। প্রতিমা মণ্ডলকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ করেছেন মমতাবালা। এই ঘটনায় নিন্দার ঝড় ওঠে।

এদিন, হাথরাসে যাওয়ার পথে দিল্লি থেকে প্রায় ২০০কিলোমিটার দূরেই তৃণমূলের প্রতিনিধিদলকে আটকানো হয়। তৃণমূল নেতৃত্ব হাথরাসে নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে এবং সমবেদনা জানাতে যেতে চেয়েছিলেন।

তাঁরা প্রশ্ন তোলেন, শান্তিপূর্ণভাবে সব প্রোটোকল তাঁরা বজায় রেখেছেন, তা সত্ত্বেও কেন তাঁদের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না? এরপরেই তাঁদের ওপর চড়াও হয় পুলিশ। শুধু বাধা দেওয়া নয়, ডেরেক ও’ব্রায়েনের মতো একজন বর্ষীয়ান সাংসদকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেওয়া হয়। যদিও উত্তরপ্রদেশ প্রশাসনের সাফাই, ১৪৪ ধারা অমান্য করে যাওয়ার জন্যেই প্রতিনিধিদলকে বাধা দেওয়া হয়েছিল।

আরও পড়ুন-যোগীর রাজ্যে পুলিশি জুলুম : হাথরাসে ঢুকতে বাধা তৃণমূলের প্রতিনিধিদলকে

Previous articleএসে গেল প্রধানমন্ত্রীর নয়া বাহন, থাকছে ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধের ব্যবস্থাও
Next articleধর্ষণই হয়েছে, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট দেখিয়ে বলছেন চিকিৎসকরা