কলেজে বসে পরীক্ষা কেন? কর্তৃপক্ষের কাছে জবাব চাইল উচ্চ শিক্ষা দফতর

স্নাতক স্তরের পরীক্ষার্থীদের কেন কলেজে ডেকে পরীক্ষা নেওয়া হলো? এই নিয়ে আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু কলেজের কাছে জবাব চাইল উচ্চ শিক্ষা দফতর। একইসঙ্গে তৎপর হয়েছে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। অধ্যক্ষের জবাব চেয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য গোটা ঘটনা নিয়ে অধ্যক্ষের সঙ্গে ফোনে কথাও বলেন বলে জানা গিয়েছে।

বৃহস্পতিবার শুরু হয়েছে চলতি বছরের স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর স্তরের চূড়ান্ত বর্ষের পরীক্ষা। শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় স্পষ্ট জানিয়েছিলেন কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ে ডাকা যাবে না। পড়ুয়াদের বাড়িতে বসেই পরীক্ষা নিতে হবে। কিন্তু নিষেধাজ্ঞা মানল না দক্ষিণ কলকাতার আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু কলেজ। হাতেগোনা কয়েকজন ছাত্রছাত্রী কলেজে ক্লাস রুমে বসে পরীক্ষা নেওয়া হয়। সোশ্যাল ডিসটেন্স বজায় রেখেই পরীক্ষা দিয়েছেন পরীক্ষার্থীরা।

কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় আগেই জানিয়েছিল, বাড়িতে বসেই অনলাইনে কার্যত ওপেন বুক সিস্টেমে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর স্তরের ছাত্রছাত্রীরা পরীক্ষা দেবেন। অধিকাংশ কলেজ সেই নির্দেশ মেনেই পরীক্ষা নিয়েছে। কিন্তু আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু কলেজ পরীক্ষা নিয়ে তৈরি হয় বিতর্ক। এজেসি বোস কলেজের অধ্যক্ষ পূর্ণ চন্দ্র মাইতি জানান, “আমাদের কলেজের অনেক পড়ুয়া মালদহ, মুর্শিদাবাদের মতো জায়গায় থাকে। ওখানে ইন্টারনেটের সমস্যা। অনেকের কাছে অ্যান্ড্রয়েড ফোনও নেই। ওরা কলেজে বসে পরীক্ষা দেবে বলে আবেদন জানিয়েছিল। তাই ওদের সুবিধার জন্য  কলেজে বসে পরীক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা করেছি।” তবে পরীক্ষা নিয়ে কোনও লিখিত নির্দেশ ছিল না বলেই দাবি করেছেন অধ্যক্ষ।

আরও পড়ুন:ব্রাত্য বসুর ‘নৈ-রাজ্যপাল’ বিদ্রুপের কড়া নিন্দায় সাংসদ লকেট

Previous articleস্বাস্থ্যবিমা, ক্রেডিট কার্ড, বিদেশ ভ্রমণে চালু হলো নতুন নিয়ম
Next articleতাঁর সাংসদ তহবিলের অর্থে নতুন রূপে বজবজ ক্রিকেট অ্যাকাডেমি, উদ্বোধনে কুণাল