হাথরাসকাণ্ড নিয়ে গোটা দেশ উত্তাল। টলে গিয়েছে যোগী প্রশাসন। এসপি সহ পাঁচ পুলিশকর্মীকে সাসপেন্ড করার পরেও ক্ষোভের আঁচ কমেনি। কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বলেন, মুখ পুড়েছে সরকারের। পদত্যাগ করুন আদিত্যনাথ যোগী। মিডিয়ার উপর ছাড় দেওয়ার পরেই রাহুল গান্ধীর ঘোষণা, আজই তিনি হাথরাসে আসছেন। আসছেন সমাজবাদী নেতা অখিলেশ যাদব। শুধু তাই নয় ঘটনায় প্রলেপ দিতে আসছেন রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব ও পুলিশের ডিজি।


নির্যাতিতার পরিবারের সবচেয়ে বেশি অভিযোগ জেলাশাসক প্রবীন কুমার লস্করের বিরুদ্ধে। তিনি শুধু হুমকি দেননি পরিবারকে, বাল্মীকি পরিবারের স্বাভাবিক জীবন-যাপন বন্ধ করে দিয়েছিলে। তিনি বলেছিলেন, সারা বছর মিডিয়া বা অন্যরা থাকবে না। আমরাই থাকব। শুধু তাই নয়, বলেছিলেন মেয়ে করোনায় মরলে সরকারি অনুদান পেতে না। এক্ষেত্রে তো পাবে। তাহলে চুপ করে যাও। এই জেলা শাসকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চেয়েছে বাল্মিকী পরিবার।

আর মধ্যিখানে পড়ে গিয়ে কথার খেই হারিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী সিদ্ধার্থনাথ সিং। বলছেন চক্রান্তকারীরা নানা কথা রটাচ্ছে। সরকার সঠিক পদক্ষেপ নেবে। পরিবার বলছে, তাহলে কেন সকলের সব স্বাধীনতায় বাধা দেওয়া হচ্ছিল? মিডিয়াকে কেন রোখা হয়েছে, আমাদের স্বাভাবিক জীবন ব্যতিব্যস্ত করা হয়েছে? এর মাঝে দলের নেতা বিনয় কাটিয়ার ধর্ষণ হয়নি বলে ফের বিতর্ক বাড়িয়ে দিয়েছেন। সব মিলিয়ে ব্যাপক বিপাকে যোগী সরকার।

আরও পড়ুন-আজ ফের হাথরাসে যাওয়ার চেষ্টা করবেন রাহুল, প্রিয়াঙ্কা