নোবেল ২০২০ : চিকিৎসাশাস্ত্রে নোবেল পেলেন তিন বিজ্ঞানী

‘হেপাটাইটিস সি’ নামে এক নয়া ভাইরাসের সন্ধান দিয়ে এবছর চিকিৎসাশাস্ত্রে নোবেল পুরস্কার পেলেন তিন বিজ্ঞানী। বিরল এই ভাইরাস আবিষ্কারের জন্য পুরস্কৃত হলেন, মার্কিন বিজ্ঞানী হার্ভে জে অল্টার, বিজ্ঞানী চার্লস এম রাইস ও ব্রিটিশ বিজ্ঞানী মাইকেল হিউটন। তিন কৃতীর নাম ঘোষণার সময়ে নোবেল কমিটির তরফে জানানো হয়, লিভার সিরোসিস ও লিভার ক্যানসারের অন্যতম কারণ এই ‘হেপাটাইটিস সি’ ভাইরাস। রক্তের মাধ্যমে সংক্রমিত ‘হেপাটাইটিস সি’-র বিরুদ্ধে লড়াইয়ের উপায় খুঁজে বের করার স্বীকৃতি জানানো হল এই তিন জনকে।

এই ভাইরাস আবিষ্কারের তিন বিজ্ঞানীর অবদান আলাদা আলাদা করে ব্যাখ্যা করেছে নোবেল কমিটি। মার্কিন গবেষক হার্ভে জে অল্টার একটি অজানা ভাইরাসকে চিহ্নিত করেছেন। তিনি ওই ভাইরাসটিকে ক্রনিক হেপাটাইটিসের মূল কারণ বলে চিহ্নিত করেন। বর্তমানে আমেরিকার ক্লিনিক্যাল সেন্টার-এর ডিপার্টমেন্ট অব ট্রান্সফিউশন মেডিসিন বিভাগের সিনিয়র ইনভেস্টিগেটর হিসেবে কাজ করছেন বিজ্ঞানী হার্ভে জে অল্টার।

ব্রিটিশ গবেষক মাইকেল হিউটন ‘হেপাটাইটিস সি’ ভাইরাসের জেনোমকে পৃথক করেছেন। ইংল্যান্ডের বিজ্ঞানী মাইকেল হাউটন ১৯৭৭ সালে লন্ডনের কিংস কলেজ থেকে পিএইচডি পান। ইংল্যান্ড-আমেরিকার বিভিন্ন জায়গায় কাজ করার পর আলবার্টা বিশ্ববিদ্যালয়ের লি কা শিং অ্যাপ্লায়েড ভাইরোলজি ইনস্টিটিউটের ডিরেক্টর পদে কর্মরত তিনি।

অপর গবেষক চার্লস এম রাইস প্রমাণ করেছেন, ‘হেপাটাইটিস সি’ নিজেই হেপাটাইটিস ছড়াতে পারে। ২০০১ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত আমেরিকার রকফেলার বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর দ্য স্টাডি অব হেপাটাইটিস সি-তে সায়েন্টিফিক অ্যান্ড এগজিকিউটিভ ডিরেক্টর ছিলেন বিজ্ঞানী চার্লস এম রাইস।

প্রসঙ্গত, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, হেপাটাইটিস একটি দূরারোগ্য ব্যাধি। প্রতি বছর এই রোগে আক্রান্ত হয়ে বিশ্বজুড়ে মৃত্যু হয় ৪ লক্ষেরও বেশি মানুষের। হেপাটাইটিস সি ভাইরাস আবিষ্কারের ফলে, এবার দূরারোগ্য এই রোগের অবশিষ্ট ক্ষেত্রগুলির কারণ জানা ও সম্ভাব্য ওষুধ আবিষ্কারের সুযোগ করে দিয়েছে। এর ফলে অনেক মানুষের প্রাণ বাঁচানো সম্ভব হবে।

Previous articleবাইরে পড়তে যাও, কিন্তু বাংলাকে ভুলে যেও না: কৃতী পড়ুয়াদের বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর
Next articleমনীশের দেহ নিয়ে টানাপোড়েন, তীব্র যানজট ধর্মতলা অঞ্চলে