নিহত বিজেপি নেতা মনীশ শুক্লর দেহ নিয়ে টানাপোড়েনে তীব্র যানজট ধর্মতলা চত্বর জুড়ে। সোমবার, ময়নাতদন্তের পরে এনআরএস থেকে বিজেপি নেতার দেহ বার করার পরে প্রথমে তা রাজভবনে নিয়ে যাওয়া হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়। পরে নিয়ে যাওয়া হবে বারাকপুরে। রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলার বেহাল পরিস্থিতির কথা জানাতেই মণীশ শুক্লর দেহ নিয়ে তাঁরা রাজভবনে নিয়ে থেকে চান বলে জানান বিজেপি নেতৃত্ব।
কিন্তু মৃতদেহ রাজভবনে নিয়ে যেতে বাধা দেয় পুলিশ। এলিট সিনেমার সামনে ব্যারিকেড করে দেওয়া হয়। পুলিশের সঙ্গে বাদানুবাদে জড়ান বিজেপি নেতারা। একসময় সেটা ধস্তাধস্তির পর্যায়ে পৌঁছয়। এর জেরে ধর্মতলা অঞ্চলে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়। সপ্তাহের প্রথম দিনে রাস্তায় আটকে পড়েন অফিস ফেরতা মানুষ।
শেষ পর্যন্ত রাজভবনের সামনে ১৪৪ ধারা থাকায় সেখানে মিছিল নিয়ে যাওয়া যাবে না বলে মেনে নেন বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং সহ নেতৃত্ব। ঠিক হয়, দেহ নিয়ে মিছিল যাবে না রাজভবনে। যাবেন মণীশ শুক্লর বাবা-সহ বিজেপির চার নেতা।
সেইমতো একটি দল যায় রাজভবনে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের সঙ্গে দেখা করতে এবং অন্য দলটি মণীশের দেহ নিয়ে টিটাগড়ের দিকে রওনা দেয়।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, মৃত্যু বিজেপি নেতার দেহ থেকে চারটি বুলেট উদ্ধার হয়েছে। শরীরে আরও প্রায় ১৪টি বুলেটের ক্ষত রয়েছে। শরীর এফোড়-ওফোড় করে বেরিয়ে গিয়েছে গুলি। সেভেন এম এম পিস্তল থেকে গুলি চালানো হয়েছে বলে অনুমান পুলিশের ।
আরও পড়ুন-তৃণমূলে ফিরতে চাইছিলেন বলেই খুন মনীশ! দাবি ফিরহাদের