হাথরাস, গয়ার প্রভাব কি এবার বিহারের ভোটব্যাঙ্কে? চিন্তায় নীতীশ কুমার

হাথরাসের পর বিহারের গয়ায় দলিত তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ভোটের আগে বিজেপি শাসিত রাজ্যে একের পর এক দলিত ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে। আর এর প্রভাব ভোটব্যাঙ্কে পড়বে বলে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে বিহারের গেরুয়া শিবিরে। আবার দলিতদের সুবিচার পাইয়ে দিতে ঠাকুর সম্প্রদায়ের সঙ্গে অবিচার করা হচ্ছে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে একাংশের।

গোটা দেশে দলিতদের সংখ্যা মোট জনসংখ্যার প্রায় শতকরা ১৬ ভাগ। বিহারের দলিতদের হার ১৮ শতাংশ। সূত্রের খবর, বিজেপির তফশিলি মোর্চার প্রধান লাল সিং যোগীকে বিহারের ভোটে দলিত ভোটব্যাঙ্ক নিয়ে দুশ্চিন্তার কথা জানিয়েছেন। গেরুয়া শিবিরের একাংশ মনে করছে, হাথরাসের ঘটনায় যোগী আদিত্যনাথ এর সরকার বিরোধীদের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়েছে। কারণ, যোগীর নির্দেশেই পুলিশ কাজ করেছে। উত্তরপ্রদেশ পুলিশের ডিজি এইচ সি অবস্থীর দাবি, স্থানীয় পুলিশের সিদ্ধান্তে মাঝরাতে দেহ সৎকার হয়েছে।

শনিবার আগ্রায় সমাজের সদস্যদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় পুলিশের। আদিত্যনাথ যোগী ঠাকুর পরিবারের সন্তান হলেও, তাদের মধ্যেও সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। শুক্রবার হাথরাসের নিকটবর্তী দু’ডজন ঠাকুরদের সমাজেও পঞ্চায়েত বসে। উত্তরপ্রদেশের এক প্রবীণ বিজেপি নেতা বলেন, মাঝরাতের দেহ সৎকার থেকে পরিবারের সদস্যদের তালাবন্দি করায় ক্ষোভ তৈরি হয়েছে।

চলতি মাসেই বিহারে প্রথম দফার ভোট। তার আগে গয়ায় ধর্ষিত হয়ে দলিত কিশোরীর আত্মহত্যার অভিযোগ উঠল। এই ঘটনায় বেশ চাপে নীতীশ কুমারের সরকার। ইতিমধ্যে ৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। কিন্তু হাথরাস কাণ্ডের পর গয়ায় ধর্ষণের অভিযোগ ওঠায় গোদের উপর বিষফোঁড়া হলো গেরুয়া শিবিরের।

আরও পড়ুন:১৩৫ কোটির দেশে কত মানুষ পেতে পারেন ভাইরাসের টিকা? জানাচ্ছেন হর্ষ বর্ধন

Previous articleফের “উন্নয়নের বদলে ভোট”-এর নিদান দিয়ে বিতর্কে অনুব্রত
Next articleটিটাগড়ের খুনের ঘটনা নিয়ে দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্যে রাজ্য পুলিশের কার্যত নিষেধাজ্ঞা