করোনা আবহে মহারাষ্ট্র কাবু ক্রিমিয়ান কঙ্গো জ্বরে, ইতিমধ্যেই মৃত ১

করোনা ভাইরাসের দাপটে নাজেহাল গোটা বিশ্ব। সংক্রমণের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। এর মধ্যেই নতুন এক রোগের কথা শোনাল মহারাষ্ট্রের পালঘর জেলা প্রশাসন। চিকিৎসক সূত্রে খবর, এই কঙ্গো ফিভার বা কঙ্গো জ্বর বা ক্রিমিয়ান কঙ্গো হেমোরেজিক ফিভার বা CCHF, এক জাতীয় ভাইরাল অসুখ। যা পশুদের শরীরে থাকা পোকা বা টিক-এর মাধ্যমে মানুষের শরীরে সংক্রমিত হয়।

এই রোগের লক্ষণ গুলি হল প্রচন্ড জ্বর, মাথা পিঠ ও পেটে ব্যাথা, চোখ লাল হয়ে যাওয়া। কোনও কোনও সময় নাক দিয়ে রক্ত বের হতেও দেখা যায়। চিকিৎসক মহলের মতে, এই কঙ্গো ফিভার বা কঙ্গো জ্বর খুবই ছোঁয়াচে। সংক্রমিত পশুর রক্ত, লালার মাধ্যমে মানুষের দেহে ঢুকে পড়ে এই প্রাণঘাতী ভাইরাস। সংক্রমিত পশুর মাংস খেলেও এই ভাইরাস সংক্রমিত হয়। যা সহজে সাধারণ মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়তে পারে। সংক্রমিত ব্যক্তির রক্ত, কফ, লালা, ঘাম বা অন্যান্য বডি ফ্লুইডের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে এই রোগ। এই জ্বরে আক্রান্ত হলে, সঠিক সময়ে চিকিৎসা বা ওষুধ না পেলে ৩০ শতাংশ মানুষের মারা যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।

ইতিমধ্যেই মহারাষ্ট্র, গুজরাতে ছড়িয়ে পড়েছে এই অসুখ। মহারাষ্ট্রে এক ব্যক্তির মৃত্যুও হয়েছে। যার জেরে রাজ্যজুড়ে জারি হয়েছে হাই এলার্ট। প্রসঙ্গত, করোনার মতো কঙ্গো জ্বরেরও কোনও ভ্যাকসিন নেই, নেই কোনও নির্দিষ্ট চিকিৎসাও। সেই কারণেই অজানা এই রোগের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে সাধারণ মানুষকে যাবতীয় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার নির্দেশ দিয়েছে পালঘর জেলা প্রশাসন। যাঁরা গবাদি পশুর প্রজনন করান, মাংস বিক্রেতা এবং পশুপালকদের সাবধান থাকার নির্দেশিকা জারি হয়েছে।

আরও পড়ুন : দেশে দৈনিক সংক্রমণের পারদ নিম্নমুখী

১৯৪৪ সালে প্রথম ক্রিমিয়াতে এই জ্বরের প্রাদুর্ভাব দেখা যায়। এরপর ১৯৭৬ সালে কঙ্গোয় এই জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া যায়। সেই রোগই এবার হানা দিয়েছে এই দেশে।

Previous articleবারুইপুরের মলয়, দেশের প্রথম কোচ মার্কিন মুলুকে যাচ্ছেন কোচিং করাতে
Next articleযুদ্ধের সময়ে উড়িয়ে দেব অটল টানেল: হুমকি বেজিংয়ের