চিনের ‘একতরফা আগ্রাসন’-এর প্রতিবেদন ওয়েবসাইট থেকে সরাল প্রতিরক্ষা মন্ত্রক

চিন নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের অবস্থান কী? প্রশ্ন উঠছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের সাম্প্রতিক পদক্ষেপ নিয়ে। লাদাখে চিনের ‘একতরফা আগ্রাসন’-এর মাসিক প্রতিবেদন ওয়েবসাইট থেকে সরিয়ে দিয়েছিল প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। এবার ২০১৭ থেকে চলতি বছরের জুন মাস পর্যন্ত প্রকাশিত হওয়া সব মাসিক প্রতিবেদনেও মুছে ফেলা হল। তার মধ্যে রয়েছে ২০১৭ সালে ডোকলাম সংক্রান্ত প্রতিবেদনও।

‘দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস’-এর তথ্য অনুযায়ী, এবিষয়ে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক থেকে কোনও ব্যাখ্যা দেওয়া হয়নি। সূত্রের খবর, সরিয়ে ফেলা প্রতিবেদনগুলি অক্টোবরে সেগুলি পুনরায় ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হতে পারে।

কিন্তু এই পদক্ষেপ নিয়ে কী বলছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক? সূত্রের খবর, ওয়েবসাইটিতে কিছু অভ্যন্তরীণ অদলবদল করা হচ্ছে। তার জেরেই আপাতত ওই প্রতিবেদনগুলি সরানো হয়েছে। এমনিতেই প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের থেকে সবুজ সঙ্কেত পেলে তবেই গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয় এটাই নিয়ম। তবে, বালাকোট এয়ারস্ট্রাইক, ভারত-পাকিস্তান বিমানযুদ্ধ অথবা ডোকলামে সেনা মোতায়েনের মতো সরকারের গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়ে তথ্য সামনে আনা হয় না। এ সব ক্ষেত্রে বিস্তারিত তথ্য প্রতিবেদনগুলিতে দেওয়া থাকে না।

তহলে, কি সেই নিয়ম ভাঙাতেই সরানো হল প্রতিবেদন? কী ছিল রিপোর্টে? তাতে ছিল, ‘‘৫ মে থেকে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর, গালওয়ান উপত্যকায় চিনা আগ্রাসন বাড়ছে। ১৭ থেকে ১৮ মে-র মধ্যে চিনা সেনা কুগরাং নালা, গোগরা এবং প্যাংগং হ্রদের উত্তর তীর অতিক্রম করেছে।’’ রিপোর্টে গত ১৫ জুন গলওয়ান উপত্যকায় ভারত এবং চিনের বাহিনীর মধ্যে হাতাহাতির কথাও উল্লেখ করা হয়েছিল। কিন্তু প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে খবর, এত বিস্তারিত পদক্ষেপের বিবরণ প্রকাশ করা যায় না। সেই কারণেই সরানো হয়েছে প্রতিবেদন।

আরও পড়ুন-বিজেপি সন্ত্রাসের রাজনীতি করে, সাফ কথা ববি হাকিমের

 

Previous articleজীবন সংগ্রামের কাহিনী নিয়ে এই পুজোয় আসছে ‘গুলদস্তা’
Next article৮৮তম বায়ুসেনা দিবস, শুভেচ্ছাবার্তা প্রধানমন্ত্রী ও প্রতিরক্ষামন্ত্রীর