Saturday, November 22, 2025

আমাদের বন্ধুত্ব মানতে পারেনি বলে পরিবারই খুন করেছে, দাবি হাথরসের অভিযুক্তের!

Date:

Share post:

হাথরাস কাণ্ড ক্রমেই জটিল হচ্ছে। প্রথমে উত্তরপ্রদেশের পুলিশ বলেছিল, গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেনি। আর এবার অন্যতম এক অভিযুক্তের দাবি, তার সঙ্গে সম্পর্ক থাকার জন্যই মেয়েটিকে খুন করেছে তার পরিবার। এখন অপবাদ দিতে অসত্য গল্প ছড়ানো হচ্ছে। হাথরাস কাণ্ডে ধৃত অন্যতম অভিযুক্ত সন্দীপ ঠাকুর অভিযোগ করে, মেয়েটির সঙ্গে তার সম্পর্ক মানতে না পেরে আক্রোশ মেটাতে তাকে খুন করেছে মেয়েটির পরিবারের সদস্যরা। চাঞ্চল্যকর এই অভিযোগ নতুন মাত্রা যোগ করল এই ভয়ঙ্কর ঘটনায়।

আরও পড়ুন- এদিনও যথারীতি ‘নিখোঁজ’ শোভন- বৈশাখী? প্রশ্নের জোয়ার দলের অন্দরে


হাথরসের পুলিশ সুপারকে হিন্দিতে একটি চিঠি লিখেছে অভিযুক্ত সন্দীপ ঠাকুর। তাতে টিপ সই রয়েছে তার এবং বাকি তিন জনের। সেই চিঠিতে লেখা, সে এবং মৃত তরুণী পরস্পরের বন্ধু ছিল। দেখা করা ছাড়াও মাঝেমধ্যে ফোনে কথা বলত তারা। গত এক বছরে নির্যাতিতার সঙ্গে তার ১০৪ টি ফোন কল বিনিময় হয়েছে বলে দাবি অভিযুক্ত সন্দীপের। অভিযোগ পত্রে তার দাবি, তাদের বন্ধুত্ব নিয়ে অখুশি ছিল তরুণীর পরিবার। তাই মা আর ভাই মিলে ক্ষেতের মধ্যে তরুণীকে ব্যাপক মারধর করে। তারপর ওই ঘটনায় চার জনকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে। অভিযোগ পত্রে সন্দীপের বয়ান:
‘‌ঘটনার দিন আমি তরুণীর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলাম। সেখানে ওর মা ও ভাই ছিল। ও আমায় বাড়ি ফিরে যেতে বলে। আমি বাড়ি ফিরে গরুদের খাওয়াচ্ছিলাম।’‌ এরপরই সন্দীপ আঙুল তুলেছে তরুণীর পরিবারের দিকে। লিখেছে, ‘‌আমি পরে গ্রামবাসীদের থেকে শুনতে পাই, ওর মা এবং দাদা আমাদের বন্ধুত্বের জন্য তরুণীকে বেদম মেরেছে। গুরুতর আহত হয়েছে মেয়েটি। আমি কখনও ওকে মারধর করিনি। খারাপ আচরণও করিনি। ওর মা আর ভাই মিলে আমার আর বাকি তিন জনের বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ এনেছে। জেলে পাঠিয়েছে। আমরা নিরপরাধ। আমি অনুরোধ করছি, এই নিয়ে তদন্ত করুন। আমাদের সুবিচার দিন।’‌ হাথরাস কাণ্ডে ধৃত চার অভিযুক্ত এখন আলিগড় জেলে রয়েছে। জেল কর্তৃপক্ষ এই চিঠি লেখার কথা স্বীকার করে নিয়ে জানিয়েছেন, চিঠিটি তাঁরা হাথরস থানায় পাঠিয়েছেন। আলিগড় জেলের সিনিয়র সুপার অলোক সিং জানিয়েছেন, ওরা ওদের বক্তব্য পেশ করেছে। তদন্তকারী দল বিষয়টি খতিয়ে দেখবে। এদিকে এসব অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে নির্যাতিতার পরিবার। তরুণীর বাবা সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, আমরা টাকাপয়সা বা অন্য ক্ষতিপূরণ চাই না। আমার মৃত মেয়ের জন্য বিচার চাই।

 

spot_img

Related articles

রিল-রিয়েল একাকার! ‘লক্ষ্মীকান্তপুর লোকাল’-এ থানায় ছুটলেন মদন

একেই বোধহয় বলে, "ঢেঁকি স্বর্গে গিয়েও ধান ভাঙে"। "দাদা একটু আসুন, আপনি না এলে হবে না", "আমার নির্দোষ...

প্রিমিয়ারেই জমজমাট গৃহকর্মীদের রোজনামচার ‘লক্ষ্মীকান্তপুর লোকাল’

শর্মিষ্ঠা ঘোষ চক্রবর্তী ওঁরা রোজ আসেন, রোজ কাজ করেন, সমস্ত রকম নাগরিক স্বাচ্ছন্দ্যের পরিষেবা দেন। কিন্তু ওঁদের নিয়ে গল্প...

টেকনিশিয়ানদের টাকা বাকি রেখে কুৎসা রটাচ্ছেন রুদ্রনীল! তথ্য দিয়ে ধুয়ে দিলেন স্বরূপ

নিজে টাকা বাকি রেখে উল্টে ফেডারেশনের নামে সোশ্যাল মিডিয়ায় কুৎসা ছড়াচ্ছেন অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষ (Rudranil Ghosh)! শুক্রবার সাংবাদিক...

কাজের চাপে শীতলকুচিতে মর্মান্তিক মৃত্যু বিএলও-র! পরিবারের পাশে রাজ্য

অতিরিক্ত কাজের চাপ এবং মানসিক অস্থিরতা—এই দুইয়ের মাঝেই শেষ হল শীতলকুচির বিএলও ললিত অধিকারীর জীবনযাত্রা। বেশ কয়েকদিন ধরেই...