মুকুলের সঙ্গে মুখোমুখি জেরা চেয়ে সিবিআইকে চিঠি কুণালের

সারদাকাণ্ডে চূড়ান্ত চার্জশিট পেশের আগে মুকুল রায়ের সঙ্গে মুখোমুখি জেরা চেয়ে সিবিআইকে চিঠি দিলেন কুণাল ঘোষ। সিবিআইয়ের ডিরেক্টর ও জয়েন্ট ডিরেক্টরকে এই চিঠি দিয়েছেন তিনি। শুক্রবার আলিপুর এসিজেএম কোর্টে সারদা মামলায় উপস্থিত হয়ে তিনি বলেন,” তদন্তের স্বার্থে আমি সিবিআই যা বলেছে, সহযোগিতা করেছি। রাজীব কুমার থেকে শুরু করে যাদের সঙ্গে তারা যৌথ জেরা চেয়েছে, আমি ছিলাম। কিন্তু তদন্তের স্বার্থে মুকুল রায়ের সঙ্গে মুখোমুখি বসা দরকার। সিবিআই আমার পিটিশন অনুমোদন করুক।” সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে কুণাল বলেন,” আমার কাছে খবর রাজনৈতিক মেরুকরণ বদলে বা দৌত্যে দুতিনজন ষড়যন্ত্রীকে চার্জশিট থেকে বাদ দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। এটা হতে দেব না। যদি কোনো প্রভাবশালী এইভাবে ছাড় পান, আমি ছাড়ব না। বিচারপর্বে সি আর পি সি ৩১৯ ধারা প্রয়োগ করে তাদের আবার কাঠগড়ায় আনব।” কুণাল আরও বলেন,” আমি ঘর পোড়া গরু। রাজনৈতিক মঞ্চবদলে আইন থেকে ছাড়ের চেষ্টার গন্ধ পাচ্ছি। এটা দুর্ভাগ্যজনক। আমি জ্ঞানত কোনো অন্যায় করিনি। আমার লড়াই অব্যাহত থাকবে। ষড়যন্ত্রীরা আশ্রয় পেলে মানব না। সিবিআই অফিসারদের উপর আস্থা আছে। কিন্তু তাদের নিয়ন্ত্রক রাজনৈতিক শিবিরের প্রতি আস্থা থাকছে না। যেভাবে ষড়যন্ত্রীদের আশ্রয় দেওয়া হচ্ছে, তা দুর্ভাগ্যজনক।” দীর্ঘদিন পর এদিন কোর্টে মামলা উঠল। বিচারক সুব্রত মুখোপাধ্যায় নতুন দায়িত্ব নিয়েছেন। তিনি মামলার পরিস্থিতি সম্পর্কে খোঁজখবর নেন। পরবর্তী তারিখ ঠিক হয়েছে ৫ ডিসেম্বর। পরে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে কুণাল বলেন,” আমি প্রথম থেকে তদন্তে সহযোগিতা করে এসেছি। আমার উপর অবিচার হয়েছে। এখন যদি ষড়যন্ত্রকারীরা রাজনৈতিক দৌত্যে চূড়ান্ত রিপোর্ট থেকে বাদ যায় এবং রাজনীতির স্বার্থে দেশের শাসক দল তাদের আশ্রয় দেয় বা সমঝোতা করে চলে, তাহলে সেটা মানা অসম্ভব।”

জানা গিয়েছে, সিবিআই শীর্ষকর্তাদের দেওয়া পিটিশনে কুণাল লিখেছেন,” আপনাদের কথায় আমি রাজীব কুমারের সঙ্গে মুখোমুখি বসে তদন্তে সহযোগিতা করেছি। এবার আপনারা তদন্তের স্বার্থে মুকুল রায় এবং আমাকে মুখোমুখি বসান।” কুণাল সাংবাদিকদের বলেছেন,” আমি সবসময় মুখোমুখি জেরায় তৈরি। এতে স্বচ্ছতা থাকে। আমার কাছে খবর মুকুল রায় দিল্লিতে বসে সিবিআইকে যে একতরফা বয়ান দিয়েছেন, তাতে তথ্যবিকৃতি আছে। মুখোমুখি জেরায় এসবের অবকাশ থাকবে না।”

আরও পড়ুন-মুকুল নাকি চাণক্যেরও গুরু! বলেন কী মধ্যপ্রদেশের কৈলাস?

Previous articleসুরাপ্রেমীদের জন্য সুখবর, পুজোর আগেই দাম কমছে বিয়ারের
Next articleচাইবাসা ট্রেজারি মামলায় জামিন পেলেও জেলেই থাকতে হবে লালুকে