উন্নয়নের ভিত উন্নত সড়ক পরিকাঠামো, রাজপথে “পথশ্রী অভিযান”-এ ফিরহাদ-শোভনদেব

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পথশ্রী অভিযানের শুভসূচনা করে ছিলেন। সেই অভিযানে ১২ কিলোমিটার রাস্তা নির্মাণ ও সংস্কারের ঘোষণা করেন তিনি। তাই সেই অনুযায়ী, আজ শনিবার দক্ষিণ কলকাতার হাজরা মোড়ে কলকাতা পুরসভার উদ্যোগে পথশ্রী অভিযানের অন্তর্গত রাস্তার সংস্কার কাজ শুরু করলেন মুখ্য প্রশাসক তথা রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। সঙ্গে ছিলেন বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়।

এদিন ফিরহাদ হাকিম জানান, পুজোর আগে কলকাতার সমস্ত রাস্তার সংস্কার করে দেওয়া হবে। যেখানে ইতিমধ্যে বিভিন্ন রাস্তা সারাইয়ের কাজ শুরু হয়েছে। পুজোর সময় যাতে কোনও যান চলাচলের ক্ষেত্রে না হয় সেদিকে লক্ষ্য রেখেই এই কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার উত্তরবঙ্গ থেকেই “পথশ্রী অভিযান” নামে এই প্রকল্পের সূচনার কথা তিনি ঘোষণা করেছিলেন। গোটা রাজ্যে মোট ১২ হাজার কিলোমিটার রাস্তা এই প্রকল্পের আওতায় মেরামত করা হবে বলে মুখ্যমন্ত্রী টুইটারেও জানিয়েছেন। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে বেহাল হয়ে থাকা রাস্তাগুলিকে একটি অভিন্ন প্রকল্পের ছাতার তলায় এনে সারিয়ে ফেলার উদ্যোগ এই প্রথম। রাজ্যের নানা প্রান্ত থেকে রাস্তা সংক্রান্ত যে সব অভিযোগ মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পৌঁছেছিল, তার ভিত্তিতেই মেরামতির তালিকা তৈরি করা হয়েছে।

সড়ক যোগাযোগ মসৃণ করে তোলা এবং নতুন নতুন রাস্তা তৈরি করা বরাবরই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের অগ্রাধিকারের তালিকায় থেকেছে। তাঁর ৯ বছরের শাসনকালে অনেক নতুন রাস্তা রাজ্যে তৈরিও হয়েছে। নবান্নের তরফে যে প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে, তার হিসেব অনুযায়ী পূর্ববর্তী সরকার ৯২ হাজার ২৩ কিলোমিটার রাস্তা তৈরি করেছিল। আর পশ্চিমবঙ্গে এখন রাস্তার মোট দৈর্ঘ ৩ লক্ষ ১৬ হাজার ৭৩০ কিলোমিটার। বর্তমান সরকারের অধীনে সড়ক পরিকাঠামো ২৪৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে বলেও ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। তবে শুধু নতুন সড়ক তৈরি করা নয়, তৈরি হয়ে থাকা সড়কগুলি মসৃণ রাখার বিষয়েও যে সরকার সমান যত্নশীল, পথশ্রী অভিযানের সূচনা করে মুখ্যমন্ত্রী সেই বার্তাই দিতে চেয়েছেন।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মনে করেন, উন্নয়নের ভিত হল ভাল সড়ক পরিকাঠামো। তাই ২০২০-২১ সালের বাজেটেও সড়ক খাতে প্রায় ৫ হাজার ৭৪৭ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। তবে পথশ্রী অভিযানে সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি সাধারণ নাগরিকদের অংশগ্রহণেও জোর দেওয়া হয়েছে। সাধারণ নাগরিকরা কী ভাবে এই প্রকল্পে সামিল হবেন, তা দেখার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সংশ্লিষ্ট এলাকার বিধায়কদের উপরে। রাস্তা সারাই হল কি না, তা সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীকেই জানানো যাবে। মেরামত হওয়া বা না হওয়া, দু’ক্ষেত্রেই রাস্তার ছবি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পাঠানোর ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে।

আরও পড়ুন-ধোনির অফ-ফর্মে জিভাকে ধর্ষণের হুমকি সোশ্যাল মিডিয়ায়, তীব্র নিন্দার ঝড়

Previous articleধর্ষণ রুখতে আরও কঠোর কেন্দ্র, রাজ্যগুলিকে পাঠানো হল কড়া নির্দেশিকা
Next articleএ কোন চিত্র! এইট পাশ বন সহায়ক পদে আবেদনে phd, Mphil, MA পাশ প্রার্থীরা!