জেলে বসেই মণীশ খুনের ছক! বিজেপি নেতা হত্যায় নয়া মোড়

মণীশ খুনের তদন্ত করতে বিহারের নালন্দায় যাচ্ছে সিআইডি টিম। জেলবন্দি সুবোধ সিংকে হেফাজতে নেবেন গোয়েন্দারা। জানা গিয়েছে, মণীশ শুক্লা খুনের সুপারির বন্দোবস্ত করেছিল সুবোধ। সিআইডি সূত্রে খবর, দুষ্কৃতীদের সঙ্গে সুবোধই যোগাযোগ করেছিল। শুধু তাই নয়, খুনের জন্যে প্রয়োজনীয় টাকাও জোগাড় করে সে।

কে এই সুবোধ সিং? ২০১০ সালে ব্যাংক ডাকাতিতে অভিযুক্ত সুবোধ। ২০১৭ সালে আসানসোলের মুথুট ফাইন্যান্সের ৫২ কেজি সোনা ডাকাতি কাণ্ডেও তার নাম জড়িয়েছে। ২০১৮ সালে বিহার এসটিএফ সুবোধকে গ্রেফতার করে। এরপর থেকে তার ঠিকানা নালন্দার সেন্ট্রাল জেল। কিন্তু জেলে বসেই ঝাড়খণ্ড, রাজস্থান, মহারাষ্ট্র, ছত্তিশগড়ের অপরাধ তার নিয়ন্ত্রণে। মণীশ খুনের দায়িত্ব আসার পর নাসির যোগাযোগ করে সুবোধের সঙ্গে। সূত্রের খবর, জেলে বসেই মণীশ খুনের নিখুঁত প্ল্যানিং করে সুবোধ। গরাদের পিছন থেকেই নাসিরকে কারবাইন সহ বাকি আগ্নেয়াস্ত্র জোগাড় করে দেয়। বাটুল ছাড়া সুপারি কিলারদের বন্দোবস্ত করেছিল সুবোধ। দুষ্কৃতীরা কোথায় থাকবে তাও ঠিক করে দেয় সুবোধ।

ইতিমধ্যে বিহারে পৌঁছেছে বারাকপুর কমিশনারেট এর একটি দল। সিআইডির গোয়েন্দাদের দাবি, মণীশ শুক্ল খুনে ধৃতদের জেরা করে মিলেছে এই সুবোধ সিংয়ের নাম। বিহারের বাসিন্দা সুবোধের আত্মীয়ের ফ্ল্যাট রয়েছে সোদপুরে। সোদপুর থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি অগ্নেয়াস্ত্র। গোয়েন্দাদের দাবি, বছর দশেক আগে জেলে সুবোধের সঙ্গে পরিচয় হয় নাসির খানের। মণীশ খুনের বরাত সুবোধকেই দেয় নাসির। সেই বরাত পেয়ে ভাড়াটে খুনির ব্যবস্থা করে সে।

আরও পড়ুন:রামবিলাসের মৃত্যুতে মোদির মন্ত্রিসভায় NDA জোট সঙ্গী রইল মাত্র ১ জন

Previous articleপর্ণশ্রীতে প্রোমোটারের রহস্যমৃত্যু, সিঁড়ির রেলিং থেকে উদ্ধার ঝুলন্ত দেহ
Next articleশারজার গ্রাউন্ডে দিল্লির দাপটে বদলে গেল আইপিএলের লিগ টেবিল