৭২০ পেয়ে নিটে প্রথম শোয়েব, একই নম্বর পেয়ে কেন দ্বিতীয় আকাঙ্ক্ষা?

দুজনের প্রাপ্ত নম্বরই এক। অথচ মেডিক্যালের সর্বভারতীয় অভিন্ন প্রবেশিকা পরীক্ষায় তথা নিট পরীক্ষায় প্রথম হলেন ওড়িশার শোয়েব আফতাব। দ্বিতীয় স্থানে দিল্লির আকাঙ্ক্ষা সিং।

দু’জনেরই প্রাপ্ত নম্বর ৭২০-তে ৭২০। যা ইতিহাসে এই প্রথম। কিন্তু কেন আকাঙ্ক্ষা দ্বিতীয় হলেন, তা নিয়ে ইতিমধ্যে প্রশ্ন উঠছে। পরীক্ষা নিয়ামক সংস্থা ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি জানিয়েছে, দুজনের প্রাপ্ত নম্বর এক হওয়ায় ‘টাইব্রেক’ পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়েছে। সেই পদ্ধতি মেনে প্রথম হয়েছেন শোয়েব। দ্বিতীয় স্থান পেয়েছেন আকাঙ্ক্ষা। এনটিএ-এর এক আধিকারিক জানান, বয়স, বিষয়ভিত্তিক নম্বর, ভুল উত্তরের মতো বিষয়গুলি বিবেচনা করে একই নম্বর পাওয়া প্রার্থীদের পৃথক র‍্যাঙ্ক দেওয়া হয়। শোয়েব এবং আকাঙ্ক্ষার ক্ষেত্রেও সেই নিয়ম অবলম্বন করা হয়েছে।

সংবাদ সংস্থাকে এনটিএ-এর এক আধিকারিক জানান, র‌্যাঙ্কিং দেওয়ার ক্ষেত্রে ‘টাইব্রেক’ পদ্ধতি মানা হয়। আগে বিভিন্ন বিষয়ে প্রাপ্ত নম্বর বিবেচনা করা হয়। প্রাথমিকভাবে জীববিজ্ঞান ও রসায়নে প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে প্রার্থীর র‍্যাঙ্কিং নির্ধারণ করা হয়। সেভাবেও প্রার্থীদের বাছাই না করা গেলে কতগুলি প্রশ্নের উত্তর ভুল দিয়েছেন, তার ভিত্তিতে তালিকা তৈরি করা হয়। তারপর বয়সের ভিত্তিতে বাছাই করা হয়। যার বয়স বেশি তিনি অগ্রাধিকার পান। ওই আধিকারিক জানান, এই পদ্ধতি মেনেই শোয়েব, আকাঙ্ক্ষা-সহ একই নম্বর প্রাপ্ত সব নিট পরীক্ষার্থীদের র‍্যাঙ্কিং নির্ধারণ করা হয়েছে। তাঁর কথায় স্থান প্রথম হোক বা দ্বিতীয় কারোর কৃতিত্ব কোনও অংশে কম না। নিটের ইতিহাসে এই প্রথমবার পূর্ণ নম্বরই প্রাপ্ত নম্বর পেয়েছেন শোয়েব ও আকাঙ্ক্ষা।

আরও পড়ুন:প্রকাশিত হল নিট ২০২০: ৭২০ নম্বর নিয়ে ইতিহাস তৈরি শোয়েব আফতাবের

Previous articleইজেডসিসিতে মোদির পুজো পে চর্চার আয়োজনে সেই তিন মুখ!
Next articleকৈলাশ-বাবুলদের ৩৫৬ ধারা প্রয়োগের দাবি কার্যত নস্যাৎ করে দিলেন অমিত শাহ