এমন মুহূর্তও জীবনে আসে !! কুণাল ঘোষের কলম

কুণাল ঘোষ

এমন মুহূর্তও আসে ! আমি বিস্মিত।

একটি ঘটনা। আজ সন্ধের পর।
Dunes Cafe নামে একটি রেস্তোরার উদ্বোধন ছিল। পাটুলিতে। সন্ধে ছটায়। তার আগে মহাষ্টমীর অনুষ্ঠানের রেকর্ডিং থাকায় দেরি হয়েছে। যখন পৌঁছেছি উদ্বোধনপর্ব শেষ। মূল অতিথি সাংসদ নুসরত চলেও গিয়েছে।

ছাদে খোলা আকাশের নিচে অনুষ্ঠান। নিয়মকানুন মেনে। সতর্কতা রেখে। চমৎকার গাইছে একটি গানের দল। শ্রোতারা মুগ্ধ।

গানের মাঝেই আমাকে স্বাগত জানিয়ে ফুল দেওয়া হল। দুচার কথা বলতেও হল। সতর্কতা মেনে জীবন চালু রাখার কথা।

তারপর আমার চলে আসার ইচ্ছে ছিল। গৃহকর্তারা বললেন একটু গান শুনে যেতে। ছেলেগুলি গাইছিল সুন্দর। বসলাম।

তারপরেই বিস্ময়।

দলের অন্যতম গায়ক বললেন,” এখন যে গানটি গাইব, সেটি কুণালবাবুরই লেখা। সুর গৌতম ব্রহ্ম। কুণালবাবুর লেখা গানের যে অ্যালবামটি প্রকাশিত হয়েছিল, তাতে এই গানটি আমারই গাওয়া ছিল। এখন সেই গানটিই গাইছি।”

দর্শকদের প্রবল করতালি।
আমি বিস্মিত। আবেগাপ্লুতও বটে।

গায়ক ধরলেন,” আমি আলোকে হারিয়ে পৌঁছে যাব তোমার কাছে।”

ইনি তরুণ কন্ঠশিল্পী শমীক। ঐ অ্যালবামে শমীক, রূপঙ্কর, সপ্তক, মনোময়, তিমির, অঙ্কিতা, আইরিন, গৌতমদের কন্ঠে গানগুলি ছিল। শমীককে আমি কখনও দেখিনি। সুরকার গৌতমই রেকর্ডিং-এ ছিল।

” পৌঁছে যাবই তোমার কাছে” অপূর্ব গেয়েছিল শমীক।

আজ আমি জানতাম না ওখানে শমীকরা গাইছে। শমীকও জানত না আমি যাব। পেশাদার টিম হিসেবে পারফর্ম করছিল।

ফলে ও যখন আমাকে দেখিয়ে বলল,” এরপর যে গানটি গাইব সেটি ওঁরই লেখা”, আমি বিস্মিত। মুগ্ধ।

এমন মুহূর্ত তো সিনেমায় দেখি। জীবনেও দেখা যায়! এ এক অন্য ভালোলাগা। আমি সঙ্গীতজগতের নিয়মিত সদস্য নই বলেই ভালোলাগাটা আরও বেশি।

পৃথিবীটা সত্যিই ছোট এবং গোল।
আমার ভারি ভালো লেগেছে।
এরপর শমীক আর ওদের টিমের সকলের সঙ্গে ছবি তুললাম। ছবি তুলে দিল অনিরুদ্ধ।

দীর্ঘদিনের পরিচিত কবিতা গুপ্ত, দিলীপ গুপ্তর আমন্ত্রণে ওখানে যাওয়া। তাঁদের পুত্রবধূ এবং তাঁর ভাই এই Cafe চালু করলেন। আমার সঙ্গে ভাস্কর, অনিরুদ্ধ। দেখা হল পুরসভার অন্যতম প্রশাসক স্বপন সমাদ্দারের সঙ্গে। গৃহকর্তাদের ব্যবহার আন্তরিক। Cafe টিও বেশ নতুন ভাবনায় তৈরি হচ্ছে। শুভেচ্ছা থাকল। ভাসমান বাজারের পাশে স্থানটিও বেশ।

তবে সেরা চমক ছাদের ওই মুহূর্ত।

এখনও কানে বাজছে তখনও পর্যন্ত দৃশ্যত অপরিচিত এক গায়কের কন্ঠ,” এবার যেটা গাইব, সেটি ওঁর লেখা।”

এমন মুহূর্তের স্বাদ পাওয়ার জন্য অনেক কষ্ট নিয়েও বেঁচে থাকা যায়।

ধন্যবাদ সময়। তুমিই সর্বশক্তিমান। তুমিই পারো এমনভাবে চমকিত করতে।

ভালো থেকো শমীক ও সহশিল্পীরা।

আরও পড়ুন- রাজসাক্ষী হওয়ার আগে রহস্যমৃত্যু! ইয়েস ব্যাঙ্ক কাণ্ডে নয়া মোড়

Previous articleরাজসাক্ষী হওয়ার আগে রহস্যমৃত্যু! ইয়েস ব্যাঙ্ক কাণ্ডে নয়া মোড়
Next articleদিলীপ ঘোষের দ্রুত আরোগ্য কামনায় দক্ষিণেশ্বর কালী মন্দিরে সোমবার মহাযজ্ঞ বিজেপি যুবমোর্চার