কোথায় তৈরি হয়েছে বিক্রিত পণ্য? অ্যামাজন-ফ্লিপকার্টকে নোটিশ কেন্দ্রের

করোনা আবহে আত্মনির্ভর ভারতের ডাক দিয়েছিলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। অনুরোধ জানানো হয়েছিল দেশবাসী যাতে স্বদেশী পণ্য কেনার উপর আরও বেশি করে জোর দেন। পাশাপাশি জানানো হয় এখন থেকে কোনও দ্রব্য বিক্রি করলে তার গায়ে বাধ্যতামূলক ভাবে লিখতে হবে সেটি কোন দেশে তৈরি। তবে কেন্দ্রের এই নির্দেশকে আমল না দিয়ে বিপুল ছাড় দিয়ে পণ্য বিক্রি করে চলেছে দুই বিদেশি ই-কমার্স সংস্থা অ্যামাজন ও ফ্লিপকার্ট। যার জেরে এবার এই দুই সংস্থাকে নোটিস পাঠাল কেন্দ্রীয় সরকার।

সম্প্রতি উৎসবের মরশুমকে কেন্দ্র করে বিশেষ ছাড়ের আয়োজন করেছে এই দুই ই-কমার্স সংস্থা।কিন্তু সেখানে যে সমস্ত পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে তা কোন দেশে তৈরি হয়েছে তার কোনও উল্লেখ নেই। যার জেরে গত ১৫ অক্টোবর দুই সংস্থাকে নোটিশ পাঠানোর পাশাপাশি আগামী ১৫ দিনের মধ্যে জবাবদিহি করতে বলা হয়েছে। উত্তর না এলে সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনায় বেশ চাপে পড়েছে অ্যামাজন ও ফ্লিপকার্ট। তবে সাম্প্রতিক সময়ে অ্যামাজনের তুলনায় নানান ইস্যুতে বারবার বিতর্কে মুখে পড়েছে ই-কমার্স সংস্থা ফ্লিপকার্ট।

আরও পড়ুন: ভোটের পাহাড় ছুঁতে উত্তরবঙ্গে নাড্ডা

সাম্প্রতিক সময়ে কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রক বোর্ডের নিয়ম ভঙ্গের অভিযোগের পাশাপাশি বিচ্ছিন্নতাবাদকে উস্কে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ফ্লিপকার্টের বিরুদ্ধে। সম্প্রতি নাগাল্যান্ডের রাজধানী কোহিমা গ্রাহকের পরিষেবা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তরে ফ্লিপকার্ট জানায়, ওই রাজ্য দেশের বাইরে তাই সেখানে পরিষেবা দেওয়া হয় না। ফ্লিপকার্টের এহেন উত্তরে শুরু হয় বিতর্ক। নেটিজেনরা অভিযোগ করে ভারতের বিশাল বাজারে যে বিদেশি সংস্থা ব্যবসা করছে তাদের ন্যূনতম জ্ঞান থাকা উচিত দেশের ইতিহাস ও ভূগোল নিয়ে। প্রবল চাপের মুখে পড়ে ক্ষমা ফ্লিপকার্ট।