Big Breaking: বিমল গুরুংয়ের চমক, এনডিএ ছেড়ে তৃণমূল জোটে

মহাপঞ্চমীতে মহাচমক।
তিন বছর অজ্ঞাতবাসের পর হঠাৎ প্রকাশ্যে কলকাতায় বিমল গুরুং। সাংবাদিক বৈঠকে তাঁর ঘোষণা: ” আমি এতদিন বিজেপি জোটে ছিলাম। বিজেপির এমপি জিতিয়ে পাঠিয়েছি। কিন্তু ওরা কথা রাখেনি। অন্যদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যা বলেন, কথা রাখেন। আমি এই মুহূর্ত থেকে এনডিএ ছাড়লাম। যোগ দেব তৃণমূলের জোটে। মমতাকেই আবার মুখ্যমন্ত্রী দেখতে চাই। তার জন্য সবরকম চেষ্টা করব।”

আরও পড়ুন : পঞ্চমীর বিকেলে চমক! গোর্খা ভবনের সামনে বিমল গুরুং

বিমল “ধামাকা”য় তপ্ত রাজনীতি। তাঁকে ঝুলে থাকা মামলা নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। তিনি বলেন,” আমি অপরাধী নই। এসব রাজনৈতিক মামলা। দেখা যাক কী হয়। তবে জেলে গেলেও মমতাকেই চাইব মুখ্যমন্ত্রীকে।”

বিমল গুরুং অবশ্য গোর্খাল্যান্ড থেকে সরেননি। আবার চাপও দেননি। বলেছেন, ” বিজেপি বলেছিল করবে। করেনি। তাই ওদের সঙ্গে থাকব না। 2024-এ তাদেরই সমর্থন করব, যারা গোর্খাল্যাণ্ড দেবে। কিন্তু বাংলার বিধানসভায় মমতাকেই মুখ্যমন্ত্রী চাই।”

এদিন প্রথমে খবর আসে গুরুং বিধাননগরের গোর্খা ভবনে সাংবাদিক বৈঠক করবেন। গুরুং আসেন। কিন্তু দরজা খোলেনি। এদিকে চাঞ্চল্য ছড়ায় ‘ফেরার’ গুরুং অবাধে ঘুরছেন কী করে। কিছুক্ষণ পর সাংবাদিক বৈঠকে নিজের অবস্থান জানান তিনি। বলেন,” আমি অপরাধী নই। দেশদ্রোহী নই। আমি একজন রাজনৈতিক নেতা।”
সাংবাদিকদের পরের পর প্রশ্নবাণের জবাবে গুরুং বলেন,” আমি দিল্লিতে ছিলাম। ঝাড়খণ্ডেও ছিলাম।” গুরুংয়ের বক্তব্য, ” রাজ্য সরকারের কারুর সঙ্গে আমার এখনও কোনো কথা হয়নি।”

আরও পড়ুন : দুর্ঘটনার কবলে অর্জুন সিংয়ের কনভয়, খবর পেয়ে ছুটে গেলেন অন্য দুই সাংসদ

যদিও এনিয়ে সবরকম চর্চা চলছে রাজনীতিতে। তৃণমূল যে একটি কৌশলী মাস্টারস্ট্রোক দিয়েছে, সেটা বুঝতেও কারুর সমস্যা হচ্ছে না। গুরুং এদিন বিনয় তামাংদের সমালোচনাও করেননি। বলেছেন,” দেখা যাক কী হয়।”
গুরুং বলেন,” রাজনীতিতে শেষকথা বলে কিছু হয় না। বন্ধু এবং শত্রুর অবস্থান ইস্যুভিত্তিকভাবে পাল্টাতেই পারে।”

বাকি রাজনৈতিক দলগুলির কাছে এখনও ধাঁধার মত লাগছে গুরুংয়ের এই পদক্ষেপ।

Previous articleগোন্দলপাড়া জুটমিল খোলায় শ্রমিকদের নিয়ে মিছিল লকেটের
Next articleশিলিগুড়িতে করোনা-অসুর বধে ‘ডাক্তার’ দেবী দুর্গা, ছবি শেয়ার করলেন শশী থারুরও