ট্রেনের ধাক্কায় হাতির মৃত্যু, রেলকে ‘শিক্ষা দিতে’ ইঞ্জিন বাজেয়াপ্ত করল বন দফতর

ট্রেনের ধাক্কায় হাতির মৃত্যু ঘটনা লাগাতারভাবে ঘটে চলেছে দেশের নানান প্রান্তে। অসমে এই ঘটনার প্রভাব সবচেয়ে বেশি। সেখানে একাধিক এলিফ্যান্ট করিডোরের ওপর থেকে রয়েছে রেলপথ। বন দফতরের তরফে এই এলিফ্যান্ট করিডোরে ট্রেনের গতি কমানোর কড়া নির্দেশ থাকলেও বেশিরভাগ সময়ই তা মানেন না ট্রেন চালকরা। যার জেরে প্রতিনিয়ত ঘটে দুর্ঘটনা। সম্প্রতি ট্রেনের ধাক্কায় তেমনই এক এলিফ্যান্ট করিডোরে মৃত্যু হয় এক হস্তিনী ও তার শাবকের। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পরই পরিবেশ কর্মী ও স্থানীয় জনতার অভিযোগের ভিত্তিতে ট্রেনের ইঞ্জিন বাজেয়াপ্ত করে নিল অসমের বন দফতর।

অসমের লামডিং সংরক্ষিত বনাঞ্চলের ভিতর দিয়ে চলে গিয়েছে রেলপথ। গভীর জঙ্গলের ভেতর দিয়ে যাওয়া এই রেলপথে হাতিদের চলাচল প্রায়শই নজরে আসে। অসমের বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার এই এলাকাতেই একটি মালগাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু হয় এক হস্তিনী ও তার শাবকের। এরপরই রেলকে শিক্ষা দিতে গাড়িটির ইঞ্জিন বাজেয়াপ্ত করে নেওয়া হয় বন দফতরের তরফে। এ প্রসঙ্গে অসম বন দফতরের শীর্ষকর্তা মহেন্দ্র কুমার যাদব বলেন, রেলের গাফিলতি জেরে ওই হাতি মৃত্যুর ঘটনায় দ্রুততার সঙ্গে পদক্ষেপ করেছে বনদপ্তর। ১৯৭২ সালের বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনের ভিত্তিতে মামলা দায়ের করা হয়েছে রেলের বিরুদ্ধে। পাশাপাশি ট্রেনটির ইঞ্জিন বাজেয়াপ্ত করা হয়।

আরও পড়ুন: পরিযায়ী শ্রমিকদের যন্ত্রণার জীবন তুলে ধরা মণ্ডপে আসছেন ‘ত্রাতা’ সোনু সুদ

এর পাশাপাশি বন দফতরের ওই আধিকারিক আরও জানান, ‘আমরা ইতিমধ্যেই রেলকে চিঠি লিখে এলিফ্যান্ট করিডর গুলিতে ট্রেনের গতি সর্বোচ্চ ৩০ কিলোমিটার রাখার আবেদন জানিয়েছে।’ পাশাপাশি এই ঘটনায় রীতিমতো ক্ষুব্ধ অসমের বনমন্ত্রী পরিমল শুক্লবৈদ্য। তিনি বলেন বন দফতরের তরফে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া উচিত রেলের বিরুদ্ধে। যাতে রেললাইনে হাতি মৃত্যুর ঘটনা বন্ধ হয়। পাশাপাশি রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, বন দফতরের তরফে ইঞ্জিনটি পরীক্ষা করতে ৩০ মিনিটের জন্য তা বাজেয়াপ্ত করা হয় পরে আবার ফেরত দেওয়া হয় সেটি।

Previous articleষষ্ঠীর সকালেই শহরের বুকে ভয়াবহ বাইক দুর্ঘটনা, আশঙ্কাজনক ২
Next articleকঙ্গনা রানাওয়াত এবং তাঁর দিদি রঙ্গোলিকে সমন মুম্বই পুলিশের