সৌমিত্রই থাকছেন যুব মোর্চার সভাপতি, তবে ডানা ছাঁটার সিদ্ধান্ত পাকা

বিদ্রোহী-বিপ্লবী ইমেজ তৈরির চেষ্টা অনুগামীদের দিয়ে। আসলে ‘পদত্যাগের নাটক’ করে বেকায়দায় পড়ে ড্যামেজ কন্ট্রোলের চেষ্টা বিজেপি যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি সৌমিত্র খাঁয়ের। কিন্তু দিল্লি ও রাজ্য বিজেপি সূত্রে খবর, সৌমিত্রর ডানা ছাঁটা হচ্ছে। আর এর যদি যথার্থ অর্থ করতে হয়, তাহলে বলতে হয় সৌমিত্রর বিজেপিকরণ করা শুরু হবে।

রবিবার থেকেই সৌমিত্রর সমর্থকরা বলতে শুরু করেন, তিনি নাকি একা রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন না। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সেখানে উপস্থিত থাকতে হবে। আসলে বৈঠকে যে মুকুল রায় বা কৈলাশ বিজয়বর্গীকে রাখতে তিনি মরিয়া তা স্পষ্ট হয়ে যায়। আর তাতে যেমন চটেছেন রাজ্য নেতারা, তেমনি কেন্দ্রীয় নেতারাও ক্ষুব্ধ। দু’পক্ষের সাফ কথা, মুখ বন্ধ রাখুন সৌমিত্র।

অন্যদিকে কাল, মঙ্গলবার কোভিডমুক্ত দিলীপ ঘোষ রাজ্য অফিসে যাবেন। সম্ভবত কালই সৌমিত্রর সঙ্গে তিনি ও রাজ্য সম্পাদক সুব্রত চট্টোপাধ্যায় বসবেন। কেন কী জন্যে জেলা কমিটিগুলিকে সাসপেন্ড করা হয়েছে, তা পরিষ্কার করবেন। রাজ্য নেতৃত্ব বলছেন, সৌমিত্রও জানেন, কোন জেলাগুলিতে সমস্যা। সেই সমস্যার সমাধানের রাস্তাও তাঁরা দেবেন।

শুধু তাই নয়, সৌমিত্রকে বুঝিয়ে দেওয়া হবে বিজেপিতে নূন্যতম নিয়ম-নীতি-শৃঙখলা মানতে হবে। এটা কংগ্রেস বা তৃণমূল কংগ্রেস ভাবলে ভুল হবে। দল-উপদল-গোষ্ঠী তৈরি মেনে নেওয়া হবে না। যারা এ নিয়ে বেফাঁস মন্তব্য করেছেন, তাদেরও সমঝে দেওয়া হবে। বেশ কিছু ক্ষেত্রে সৌমিত্রর ডানা ছাঁটা হবে। রাজ্য নেতাদের একজন কিংবা দু’জনকে যুব মোর্চার সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে যৌথ দায়িত্ব দেওয়া হবে। ফলে নিজের ইচ্ছে মতো কো-অপ্ট করার সিদ্ধান্ত একা সৌমিত্রর হাতে আর থাকবে না। কর্মসূচি নির্ণয়ের ক্ষেত্রেও এই রাজ্য নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে। ফলে সব মিলিয়ে সৌমিত্র থাকছেন, তবে ডানা ছাঁটার পরিকল্পনাও পাকা।

দেখার বিষয়, সৌমিত্রকে যারা মদত দিচ্ছিলেন, তারা এরপর কোন পদক্ষেপ নেন।

আরও পড়ুন-সৌমিত্রকে লক্ষ্য করে অনুপম: নিজেদের লড়াইয়ে ভোটে হেরে গেলে অন্য রাজ্যে বাড়ি খুঁজতে হবে!

Previous article৪দিন বিসর্জন, প্রতিমা নিরঞ্জনের জন্য যে রাস্তা নির্দিষ্ট করল কলকাতা পুলিশ
Next articleপুজোয় যাদবপুরে বামেদের বুকস্টল চারদশকের পুরনো ইতিহাসের সাক্ষী