ভোটের আগেই প্রতিমা বিসর্জনে ধুন্ধুমারকাণ্ড বিহারে, মাথায় গুলি মারলো নীতিশের পুলিশ?

দুর্গা প্রতিমার বিসর্জনকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমারকাণ্ড বিহারে।
পুলিশ-জনতা খণ্ডযুদ্ধে অগ্নিগর্ভ বিহারের মুঙ্গের। ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ১৮ বছরের এক কিশোরের। আহত কমপক্ষে ৩০ জন। তারমধ্যে অনেকে পুলিশকর্মী।

জানা গিয়েছে, বিহারের মুঙ্গেরে ৫০টির বেশি পুজো হয়েছে এবার। তার মধ্যে ১৫টি প্রতিমা দীনদয়াল চক দিয়ে গঙ্গায় বিসর্জন করার কথা। বিজয়া দশমীর ৩ দিন পরে বিসর্জন করাই এখানকার পুজোগুলির রীতি। কিন্তু একদিকে করোনা পরিস্থিতি, আর অন্যদিকে রাজ্যে প্রথম দফার ভোটগ্রহণ বুধবার। সেজন্য এবার মঙ্গলবার ভোর ৫ পর্যন্ত বিসর্জনের সময় বেঁধে দিয়েছিল পুলিশ প্রশাসন।

প্রশাসনিক মহল থেকে অভিযোগ, সরকারি নির্দেশ অমান্য করে ডিজে বাজিয়ে বেরিয়ে পড়ে প্রতিমা নিরঞ্জনের শোভাযাত্রাগুলি। রাত ১২টা নাগাদ পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যায়। শোভাযাত্রার উপর লাঠিচার্জ শুরু করে পুলিশ। মহিলাদের উপর এলোপাতাড়ি লাঠি চালায় নীতিশ কুমারের উন্মত্ত পুলিশ।

পাল্টা প্রতিরোধ গড়ে তোলে পুজো কমিটিগুলো। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। রাত ১টা পর্যন্ত চলে সংঘর্ষ। বিশাল পুলিশ বাহিনী পৌঁছয় ঘটনাস্থলে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার করেছে পুলিশ। ১৫ রাউন্ড গুলিও ছুড়েছে। পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হয় অনুরাগ কুমার নামে এক কিশোরের। মৃতের পরিবারের অভিযোগ, মাথায় গুলি করেছে পুলিশ।

এদিকে বিহার পুলিশের অভিযোগ, জনতাই প্ররোচনা দিয়েছিল পুলিশকে। শুধু তাই নয়, পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ও পাথর ছুড়েছে জনতা। আহতের মধ্যে ২০ জনই নাকি পুলিশ কর্মী।”

Previous articleবিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় অভিনেত্রীকে পরপর ছুরির কোপ চলচ্চিত্র প্রযোজকের
Next articleকরোনা যোদ্ধা পুলিশ ও বঙ্গবাসীকে বিজয়ার শুভেচ্ছা বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর