বিহারে দুর্গা প্রতিমা বিসর্জনে পুলিশের গুলি, কলকাতায় লাগাতার বিক্ষোভ বাংলা পক্ষের

করোনা আবহে দুর্গাপুজোর বিসর্জনকে কেন্দ্র করে দশমীর মধ্যরাতে কার্যত রণক্ষেত্র চেহারা নিয়েছিল বিহারের মুঙ্গের। আপাত নিরীহ এক বিসর্জনের শোভাযাত্রার উপর, যেখানে মহিলা-শিশুরাও ছিল, সেখানে বিহার পুলিশের নির্বিচারে লাঠিচার্জ ও গুলিতে মৃত্যু হয়েছিল এক কিশোরের। আহতও হয়েছেন প্রায় ৩০ জন। তাঁদের মধ্যে ছিলেন চার বাঙালিও। বিজেপি ও জেডি (ইউ) শাসিত বিহারে ভোটের মাঝেই এই ঘটনা রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে ফের প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। আর এবার সেই ঘটনা নিয়েই এবার কলকাতায় বিক্ষোভে সামিল হলো বাংলা ভাষা-বাঙালির স্বার্থ-নিরাপত্তা-সুরক্ষা-কৃষ্টি-সংস্কৃতি নিয়ে কাজ করা অরাজনৈতিক সংগঠন “বাংলা পক্ষ”।

এদিন কলকাতার বুকে ক্যামাক স্ট্রিটে বিহার ভবনের সামনে ওই ন্যক্কারজনক ঘটনার দোষীদের শাস্তি ও ওই রাজ্যের বাঙালিদের নিরাপত্তার দাবিতে বিক্ষোভ দেখাল বাংলা পক্ষ। ওই সংগঠনের তরফে অভিযোগ করা হয়, বিহারের মুঙ্গেরে বাঙালির দুর্গাপুজোর বিসর্জনের সময় পুলিশ নির্বিচারে লাঠি, এমনকী গুলি চালিয়েছে। সংবিধান ও আইন বিরুদ্ধভাবে মাথায় গুলি করে খুন হয়েছে এক বাঙালি ঘরের কিশোরকে, আহতও হয়েছেন অনেকে। ওই খুনের বিচার চায় বাংলা পক্ষ। তাই দোষীদের কঠোর শাস্তি দিতে হবে। তাঁদের দাবি, বাঙালির নিরাপত্তা চাই। বিহার, উত্তরপ্রদেশ-সহ নানা রাজ্যে বাঙালি, বাঙালির উৎসব ঘিরে বাঙালিরাই আক্রান্ত হচ্ছেন বছরের পর বছর।

আরও পড়ুন- বিকাশবাবু, এবার ছটপুজোর জমায়েত রুখতে মামলা করুন!” বলছে বাংলা পক্ষ

ইতিমধ্যেই বিসর্জনের সময় পুলিশের লাঠি চালানোর ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, বিসর্জনের শোভাযাত্রায় লাঠিচার্জ করছে পুলিশ। সেই সঙ্গে চালানো হয়েছে এলোপাথাড়ি গুলি। ওই ঘটনাতেই প্রাণ গিয়েছে এক কিশোরের। তাঁর নাম অনুরাগ পোদ্দার (১৮)।

ভোটের সময় পুলিশের লাঠি, গুলি চালানোর ঘটনায় নিঃসন্দেহে নতুন করে রাজনৈতিক আলোড়ন তৈরি হয়েছে বিহারে। পুলিশের তরফে দাবি করা হয়েছে, দুর্গাপুজোর ভাসানকে কেন্দ্র করে এই ঘটনা ঘটেছে, সেখানে বেশ কিছু সমাজবিরোধীরাও জড়ো হয়েছিল। ভাসানযাত্রীদের পক্ষ থেকেই পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছোড়া হয়। তাতে ২৩ জন পুলিশকর্মী আহতও হন বলে অভিযোগ ওঠে। সেই সময় বাধ্য হয়েই লাঠিচার্জের পাশাপাশি গুলি চালাতে হয়। সেই গুলি গিয়ে লাগে অনুরাগ পোদ্দার নামে ওই কিশোরের শরীরে। ভাসানযাত্রীদের মধ্যে থাকা ওই কিশোরের মৃত্যু হয় গুলি লেগে।

অন্যদিকে বাংলা পক্ষের দাবি, উদ্দেশে প্রণোদিতভাবে গুলি চালিয়েছে বিহার পুলিশ। সরকারিভাবে একজনের মৃত্যুর খবর স্বীকার করা হলেও আসলে পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে ৪ জনের। পুলিশ সুপার লিপি সিংহের অঙ্গুলি হেলনেই এই ঘটনা ঘটেছে।

আরও পড়ুন- বিকাশবাবু, এবার ছটপুজোর জমায়েত রুখতে মামলা করুন!” বলছে বাংলা পক্ষ

Previous articleবিকাশবাবু, এবার ছটপুজোর জমায়েত রুখতে মামলা করুন!” বলছে বাংলা পক্ষ
Next articleআমি-আমি হল সর্বনাশের মূল: স্বামীজির বাণী উদ্ধৃত করে কাকে ইঙ্গিত শুভেন্দুর?