করোনা ভাইরাসের দাপট দেশজুড়ে ক্রমবর্ধমান। বিপুল সংখ্যক মানুষ সংক্রামিত হচ্ছেন প্রতিদিন। তবে ব্যাপকভাবে এই করোনা ভাইরাস ছড়ানোর পিছনে সবচেয়ে বড় হাত ‘করোনা সুপার স্প্রেডার’দের। করোনা আক্রান্ত অথচ তাদের শরীরে নেই কোনও লক্ষণ। অজান্তেই তাদের মাধ্যমে সংক্রমিত হয়ে যাচ্ছেন বহু মানুষ। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের সবচেয়ে বড় মাথা ব্যথার কারণ এরাই। এসব কিছুর মাঝেই এবার শিশুদের নিয়ে আশঙ্কার কথা শোনালো আইসিএমআর।
করোনাভাইরাস শুরুর একেবারে প্রথমভাগে অনুমান করা হচ্ছিল শিশুরাই তুলনামূলকভাবে এই ভাইরাসের থেকে নিরাপদ। তবে এদিন আইসিএমআর ডিরেক্টর জেনারেল বলরাম ভার্গব জানালেন, ‘শিশুদের নিয়ে যে ধারণা ছিল এবার তা পাল্টাতে হবে। শিশুরা ব্যাপকহারে করোনা সংক্রমণ ছড়াতে সক্ষম।’ সমীক্ষায় প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী ভারতের মোট সংক্রামিত ৮ শতাংশের বয়স ১৭ বছরের নিচে। এবং পাঁচ বছরের কম যাদের বয়স তাদের আক্রান্ত হওয়ার হার ১ শতাংশেরও কম। তাহলে শিশুরা সুপার স্প্রেডার কিভাবে? এক্ষেত্রে মিজোরামের উদাহরণ টেনে আইসিএমআর এর দাবি, মিজোরামে এখনও পর্যন্ত ৩১৫ জন শিশু করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। তবে আশার কথা একটাই অন্যান্য দেশের মতো ভারতে করোনা আক্রান্ত শিশুদের মধ্যে এখনো পর্যন্ত কাওয়াসাকি রোগের লক্ষণ দেখা যায়নি।
আরও পড়ুন: রাজ্যের পুলিশ নিষ্ক্রিয়: অমিতকে নালিশ ধনকড়ের
এছাড়াও শিশুদের সুপার স্প্রেডার বলার অন্যতম বড় কারণ আমেরিকা। জুলাই মাসের মাঝামাঝি সময়ে স্কুল খুলেছিল আমেরিকাতে আর মাত্র দুই সপ্তাহের মাঝেই সেখানে করোনা আক্রান্ত হয় লক্ষাধিক শিশু। ভারতের সমস্ত রাজ্যের স্কুল খোলার তোড়জোড় শুরু করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। এমন পরিস্থিতিতে আইসিএমআরের তরফে যে দাবি করা হল তা নিশ্চিত ভাবেই চরম আশঙ্কার। সম্প্রতি বিশাখাপত্তনমে স্কুল খুলেছে এবং সেখানে স্কুল খোলার পরে এক দিনে একই ক্লাসের ৯ জন পড়ুয়া আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছে।