কথা চলছে, তৃণমূলে যোগ দিতে পারেন বিজেপির একাধিক নেতা ? জল্পনা তুঙ্গে

ভোটের আগেই রাজ্য রাজনীতিতে বৃহত্তম ধাক্কা দিতে পারে তৃণমূল৷ এখন সলতে পাকানোর পর্ব চলছে৷ সব অঙ্ক ঠিকঠাক থাকলে এতদিন ধরে দল ভাঙানোর সব হিসেব একসঙ্গে চুকিয়ে দিতে পারে তৃণমূল কংগ্রেস ৷

দু’টি পর্বে বিজেপি ‘ভাঙ্গানোর’ ছক সাজানো হয়েছে৷ বিজেপিতে ইদানিং একঘরে হয়ে গিয়েছেন বেশ কিছু ‘হেভিওয়েট’ নেতা৷ অনেককে পদ থেকে সরানো হয়েছে অথবা প্রশাসনিক পদে দীর্ঘদিন থাকার পর রাজনীতিতে ফিরতে চেয়েও অবহেলার শিকার হচ্ছেন৷ দলের প্রতি বীতশ্রদ্ধ হয়ে উঠেছেন তাঁরা৷ বুঝেছেন, একসময় যত বড় পদেই তারা থাকুন না কেন, একুশের ভোটে আদৌ প্রার্থী হতে পারবেন কি’না তা নিয়েও প্রশ্ন উঠে গিয়েছে৷ এমন একাধিক নেতা এই মুহুর্তে তৃণমূলের স্ক্যানারে৷ এদের প্রত্যেকের সঙ্গে দু-তিন দফা কথা হয়ে গিয়েছে৷ দু-একটি ছোট বিষয়ের সমাধান হয়ে গেলেই এরা বিদায় জানাবেন বিজেপিকে৷

দ্বিতীয় তালিকায় রয়েছে এমন একাধিক নাম, যারা কিছুদিন আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে গিয়েছেন বটে, তবে নতুন দলে তেমন কল্কে পাচ্ছেন না৷ এই তালিকায় একসময়ে তৃণমূলের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে ছিলেন, এমন অনেকে আছেন৷ বিজেপিতে যোগ দিয়ে এই নেতারা এখনও পর্যন্ত ন্যূনতম মর্যাদা পাননি৷ বিজেপিতে যোগ দেওয়া একাধিক বিধায়কও এই একই মানসিক যন্ত্রনায় ভুগছেন৷ তৃণমূল এই সুযোগটাই নিয়ে ফেলেছে৷
যে কারনে এরা দল ছেড়েছে, সেই সব সমস্যা দ্রুত সমাধানের পথেরও হদিশ মিলেছে৷ কার্যত
মান ভাঙিয়েই এদের ফিরিয়ে নেওয়ার কাজ চলছে৷

আরও পড়ুন- আইএসএল: প্রথম ম্যাচেই মাঠে এটিকে মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গলের অভিষেক কবে?

আপাতত জল্পনা চরমে রয়েছে একাধিক নেতাকে ঘিরে৷ এদের একজন দলের পদ হারিয়ে ক্ষুব্ধ৷ পদ হারিয়ে প্রকাশ্যে বিদ্রোহ ঘোষণাও করেছিলেন তিনি৷ বিজেপির অন্যতম এই শীর্ষনেতার সঙ্গে ইতিমধ্যেই দু’দফা কথা হয়েছে তৃণমূলের৷ ওই নেতাও সমান আগ্রহী দল বদল করতে৷ ওই নেতার রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ প্রায় চূড়ান্ত৷

একুশের ভোটের আগে তৃণমূলমুখী বিজেপি- স্রোতে রয়েছেন সদ্য প্রশাসনিক পদ ছেড়ে রাজনীতিতে যোগ দিতে চাওয়া এক বরিষ্ঠ নেতা৷ রাজনীতিতে ফেরার ইচ্ছার কথা সরাসরি দলীয় নেতৃত্বকে জানালেও দল তা পাত্তা দেয়নি৷ চরম ক্ষুব্ধ তিনি৷ বিজেপিকে ‘শিক্ষা’ দিয়ে বদলা নিতে চাইছেন৷ তৃণমূলও সেটাই চাইছে৷ ফলে দল বদলের ক্ষেত্র প্রায় পাকা৷

আর এক নেতাকে সম্প্রতি রাজ্য কমিটি থেকে বাদ দিয়েছে বিজেপি। অন্য নেতাদের মতো সক্রিয় না হলেও পরিবারিক ঘরানার বাইরে গিয়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু যেভাবে অপমানিত হয়েছেন, তা মানতে পারছেন না৷ তাই তিনি তৃণমূলে যেতে একান্তই আগ্রহী৷

তৃণমূল থেকে এসে, তৃণমূলেই ফেরত যাওয়ার জল্পনার তালিকায় এই নেতার নাম অনেকদিন থেকেই ঘুরছে। বিজেপি ইদানিং তাঁকে উপেক্ষাই করছে৷ তাঁকে বাদ দিয়েই ২০২১-এর ভোটের ঘুঁটি সাজাচ্ছে বিজেপি। তৃণমূলও যে ক’জন দলছাড়াকে ফিরিয়ে নিতে আগ্রহী, এই নেতার নাম সেই তালিকার উপরের দিকেই৷

আরও পড়ুন- অক্টোবর শেষ, এখনই জাঁকিয়ে শীত নয় বঙ্গে, জানালো হাওয়া অফিস

জনাকয়েক বিধায়ক, যারা কিছুদিন আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন, তাঁরা এই মুহুর্তে কার্যত এলাকাতেই স্বাধীনভাবে ঘুরতে পারছেন না, স্থানীয় মানুষের আপত্তিতে৷ বিজেপিও এদের তেমন পাত্তা দিচ্ছে না৷ ফলে, ‘হনিমুন’ পর্ব উধাও হয়েছে৷ এরাও চাইছেন তৃণমূলে ফিরে যেতে৷ কথাও চলছে সেই মতোই৷

আসলে, বিহার বিধানসভা নির্বাচন শেষ হলেই নির্বাচন কমিশনের পাখির চোখ হতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গ৷ তাই কোনও সময়ই নষ্ট করতে চাইছেনা তৃণমূল৷ বিধানসভা নির্বাচনের আগেই বিজেপিকে পালটা আঘাত হানতে চলেছে তৃণমূল, এমন জল্পনাতেই উত্তপ্ত রাজনীতির আঙ্গিনা৷

আরও পড়ুন- ধনকড়ের বিরুদ্ধেই মামলা রাজভবনের দুই কর্মীর!

Previous articleতিনকাঠা জমি শ্মশানের জন্য দান করা হবে, আশ্বাসের পরই শেষকৃত্য সম্পন্ন বিধানসভার ডেপুটি স্পিকারের
Next articleশুধু বাংলা নয়, বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতেও ধ্বংস গণতন্ত্র! রাজ্যপালকে কটাক্ষ মান্নানের