১০ নভেম্বর নন্দীগ্রামে শুভেন্দু অধিকারীর ডাকা জনসভা নিয়ে বাজার গরম। শনিবার দুপুর পর্যন্ত খবর ছিল, তিনি ওদিন বড় ঘোষণা করতে পারেন। অর্থাৎ তৃণমূল ত্যাগ করে নতুন দল বা সরাসরি বিজেপি। কিংবা মন্ত্রিত্ব থেকে ইস্তফা। শুভেন্দুর তপ্ত বয়ান এবং সভার বডি ল্যাঙ্গুয়েজ থেকে সংঘাতের আবহ বাড়ছে। তাঁর শিবির থেকেও নানা খবর আসছে।

নন্দীগ্রামের জনসভা নিয়ে শুভেন্দুর ঘনিষ্ঠমহল থেকে যে প্রচারটি চলছে, এখানেও দলের কোনো উল্লেখ নেই। একক শুভেন্দুর প্রচার।

এদিকে রবিবারের খবর হল, ১০ তারিখ জনসভার টেম্পো তুললেও বড় কোনো ঘোষণা করবেন না শুভেন্দু। তিনি ক্ষোভ বুঝিয়ে দেবেন। কিন্তু কোনো ইস্তফা বা দলত্যাগ ঘোষণা করবেন না। বরং তিনি অনুগামীদের বিরাট জমায়েত দেখাবেন। অন্যান্য জেলা থেকেও অনুগামীরা যাবেন। শুভেন্দু নিজের শক্তিপ্রদর্শন করবেন সেদিন। তাদের সামনে নিজের আবেগের কথা বলবেন।

বস্তত, ১০ নভেম্বর প্রতিবারই তিনি জনসভা করেন। নন্দীগ্রামের সঙ্গে জড়িত দিনটি। এবার সেটিই বড় করে করছেন।
সূত্র বলছে, শুভেন্দু একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সেটা ঠিক। কিন্তু একাধিক ফ্যাক্টরে তিনি সময় নিচ্ছেন। চূড়ান্ত রূপ দিতে পারছেন না। যেমন একটি মহলের পরামর্শ, ১০ তারিখ মন্ত্রিসভা ছাড়ুন শুভেন্দু। অন্য মহল বলছে, মন্ত্রী থাকলে অনেক কাজ করা যাবে। এত আগে সেই সুযোগ ছাড়া ঠিক নয়। ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত অপেক্ষা করা হোক। এর মধ্যে নারদ চার্জশিটও একটা বড় ফ্যাক্টর। শোনা যাচ্ছে চার্জশিট জমা পড়বে। এখানে বাকিদের সঙ্গে শুভেন্দুর নাম থাকলে শুভেন্দুকে এর সর্বাত্মক বিরোধিতা করতে হবে। তিনি বিজেপি করবেন কী করে? আবার, বিজেপির দিল্লির একটি মহল চাইছে চার্জশিট ঝুলিয়ে রেখে এবং শুভেন্দুকে বাদ রেখে রাজনৈতিক সমীকরণ তৈরি করতে। এই বিষয়টির ফয়সালা হওয়ার আগে শুভেন্দু চূড়ান্ত ঝুঁকি নেওয়া ঠিক হবে না। তাছাড়া অধিকারী পরিবারও এই বিষয়ে একমত নয়।

শুভেন্দুর অনুগামীরা প্রচারে তাঁর একক ক্যারিশ্মার উপর জোর দিচ্ছেন। ১০ নভেম্বর বহ এলাকা থেকে অনুগামীরা যাবেন। এমন ব্যানারও আছে,” পূর্ব ভারতের জনপ্রিয়তম নেতা।” শুভেন্দু দুই মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রাম- এই সাবেক অবিভক্ত মেদিনীপুরকে ঘিরে বিশেষ রাজনৈতিক অঙ্ক কষছেন, যার একটি চমকপ্রদ ইঙ্গিত ১০ তারিখ মিলতে পারে। শনিবার তাঁর এক সভায় সঞ্চালক শুভেন্দুর হাতে মাইক দেওয়ার আগে ভূমিকা করে বলেছেন,” আগামীদিন মেদিনীপুরই বাংলাকে পরিচালনা করবে।” এই ইঙ্গিতবাহী প্রচারের আবহেই ১০ তারিখ সভা করবেন শুভেন্দু।

আরও পড়ুন-নতুন দল নয়, সরাসরি বিজেপিতেই শুভেন্দু! নয়া গুঞ্জনে চাঞ্চল্য রাজ্য রাজনীতিতে
