একুশের নির্বাচন মাত্র মাস ৭-৮ দূরে৷ ফলে নষ্ট করার মতো সময় হাতে আর নেই৷ তাই নির্বাচনকে পাখির চোখ করে ঘর গোছানোর কাজ শুরু করেছে তৃণমূল।

সূত্রের খবর, তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আলোচনার পর ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর প্রথম পর্যায়ে রাজ্যজুড়ে প্রায় ৬০০ সভা করার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন৷ বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রথম কর্মসূচিতেই কেন্দ্র পিছু কমপক্ষে ২টি সভা করতে বলা হয়েছে। কালীপুজো মিটলেই এই রাজনৈতিক কর্মসূচি নিয়ে ঝাঁপাতে বলা হয়েছে তৃণমূলের জেলা নেতৃত্বকে৷
জনসংযোগের বড় মাধ্যমগুলির অন্যতম প্রধান হাতিয়ার ‘বিজয়া সম্মিলনী’। কিন্তু এ বছর করোনা আবহে বড় করে ‘বিজয়া সম্মিলনী’ করা যাচ্ছেনা৷ অথচ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন দোরগড়ায়। প্রশান্ত কিশোরের পরামর্শে তাই দলের জেলাস্তরে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বিধানসভা কেন্দ্রপিছু অন্তত ২টি করে সভা করার কর্মসূচি সফল করতে৷ প্রতিটি সভার জনসমাগম, বক্তাদের বক্তব্য, তৃণমূল কংগ্রেস সম্পর্কে সাধারণ মানুষের অভিমত, সভার সাফল্য বা ব্যর্থতা, ইত্যাদি প্রতিটি ধাপে নজর রাখবে পিকের সংস্থা ‘আইপ্যাক’। এই সব কর্মসূচির ছবি ও পূর্ণাঙ্গ ভিডিও ‘আইপ্যাক’ মারফত দলের শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে পাঠাতেও বলা হয়েছে। ঠিক হয়েছে, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা থেকে এই কর্মসূচি শুরু হবে৷ জেলায় তিন স্তরে সভা করে বিজয়ার শুভেচ্ছা জানাবেন তৃণমূলের জেলা নেতৃত্ব ৷

আরও পড়ুন- মোদির গুণ গেয়ে উত্তরবঙ্গে একমাসের সফরে রাজ্যপাল, বিরোধীদের মতে রাজনীতি
