Shuvendu update : এবার টেনে আনলেন ‘নেত্রী’র প্রসঙ্গ, কোন ইঙ্গিত শুভেন্দুর?

রোজই কিছু চমক থাকছে পরিবহনমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর পদক্ষেপে। সোমবার ময়দানে পরিবহন দফতরের টেন্টকে অফিস বানিয়ে কাজ সেরে ফিরে যান নিজের জেলায়। যাওয়ার আগে দলনেত্রীর সঙ্গে যোগাযোগের কথা অকপটে জানিয়ে যান। আর মঙ্গলবার পটাশপুরে পঞ্চায়েতের সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে টেনে আনলেন নেত্রীর প্রসঙ্গ। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই আছি, এই নেই, এটাই আসলে শুভেন্দুর স্ট্র‍্যাটেজি।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পটাশপুর পঞ্চায়েতের সভায় বলতে উঠে নন্দীগ্রাম প্রসঙ্গ টেনে এনে শুভেন্দু বলেন, ‘আমাকে বললেন নেত্রী, আমি লড়াই করলাম…।’ কেন হঠাৎ নেত্রীর কথা? এ কী কোনও বার্তা? রাজনৈতিক মহলে জোর জল্পনা। শুধু এখানেই শেষ নয়, সভায় শুভেন্দুর কটাক্ষ, ‘সাইকেল শিখতে গেলে পিছন থেকে ধরে থাকলে শেখা যায় না। পড়তে পড়তে শিখতে হয়!’

দলের ব্যানারবিহীন সভা। দল সম্বন্ধে একটি কথাও উচ্চারণ না করে সভা। শুধু শুভেন্দু অধিকারীর পোস্টার। আর সেই পোস্টার নিয়েই কাঁথিতে তৃণমূলের দুই শিবিরে জোর দ্বন্দ্ব। ব্যানারে আবার সইপর্ব চলছে। তাতে বিরক্ত রামনগরের বিধায়ক অখিল গিরি। তাঁর সাফ কথা, শুভেন্দু দলে থেকে দল বিরোধী কাজ করছে। দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে জানিয়েছি। ৮ নভেম্বর কোলাঘাটের বিজয়া সম্মিলনী থেকে নেতা-কর্মীদের বোঝাব। আবার ১০ নভেম্বর শুভেন্দুর নন্দীগ্রামে সভা।

পাল্টা জেলায় দলের সাধারণ সম্পাদক কণিষ্ক পাণ্ডার সাফ কথা, ‘আমাদের নেতা শিশির অধিকারী। অখিল গিরি কার্যকরী সভাপতি। ওনার উচিত নিজের কেন্দ্রে বিজেপির বাড়বাড়ন্ত বন্ধ করা। প্রত্যেকবার ওনাকে জেতাতে শিশিরবাবু আর শুভেন্দুকে মাঠে নামতে হয়েছে। যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নেবেন৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পর যদি কারওর স্থান থাকে তাহলে তিনি শুভেন্দু অধিকারী।’

কণিষ্কর বক্তব্যে শুভেন্দুর মতোই যেমন একদিকে নেত্রীর কথা, তেমনি অন্য শিবিরের নেতাদের প্রসঙ্গেও অবজ্ঞার বার্তা। বিরোধী দলগুলি কিন্তু কড়া নজর রাখছে পরিস্থিতির দিকে।

Previous articleদেশ থেকে পলিমাটি নিতে চায় মালদ্বীপ
Next articleবুদ্ধবাবুর আমরা-ওরা আর ২৩৫-এর দম্ভ মনে করিয়ে কীসের ইঙ্গিত দিলেন শুভেন্দু?