বিশেষ দিনে নিয়ন্ত্রণ হোক লোকাল ট্রেন পরিষেবা, মামলা দায়ের হাইকোর্টে

কলকাতা হাইকোর্ট

এবার লোকাল ট্রেন চালু নিয়ে মামলা দায়ের হলো কলকাতা হাইকোর্টে। কালীপুজো, জগদ্ধাত্রীপুজো, কার্তিকপুজো এবং রাস পূর্ণিমায় লোকাল ট্রেনে ভিড় হবে বলে আশঙ্কা মামলাকারীদের। আর তাতে ভাইরাসের সংক্রমণ বাড়বে। মামলাকারীদের আবেদন, সংশ্লিষ্ট পুজোতে বিশেষ কিছু এলাকায় বা তার আশপাশের ১০ কিলোমিটার অঞ্চলের মধ্যে যেন লোকাল ট্রেন না থামানো হয়। আগামী মঙ্গলবার এই মামলার শুনানি বলে জানা গিয়েছে।

মামলাকারী অজয় কুমার দে বলেন, কালীপুজোর সময় বারাসাত, মধ্যমগ্রাম এবং পান্ডুয়াতে ভিড় হয়। ঠিক তেমনই জগদ্ধাত্রী পুজোতে ভিড় হয় চন্দননগর, কৃষ্ণনগরে। আবার কার্তিক পুজোতে চুঁচুড়া, বাঁশবেড়িয়া, কাটোয়া অন্যদিকে রাসপূর্ণিমাতে শান্তিপুর, নবদ্বীপ, উলুবেড়িয়াতে প্রচুর মানুষ যান। জনসমাগম হয়। সংশ্লিষ্ট পুজোর দিন গুলিতে লোকাল ট্রেন দাঁড়ালে দর্শনার্থীদের ভিড় বাড়বে। আর তাতে করোনা সংক্রমণ বাড়বে। তিনি আরও বলেন, “তাই আদালতের কাছে আর্জি জানিয়েছি পুজোর দিন গুলিতে সংশ্লিষ্ট স্টেশন বা তার আশপাশের ১০ কিলোমিটার এলাকার মধ্যে লোকাল ট্রেন যাতে না দাঁড়ায় সেই নির্দেশ দেওয়া হোক।”

এই মামলা প্রসঙ্গে রেলের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, আদালত এই আর্জি মেনে নিলে সংশ্লিষ্ট দিনগুলিতে ওই শাখায় ট্রেন চলাচল নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। কারণ ট্রেন চলবে কিন্তু স্টপেজ দেওয়া হবে না এটা কার্যত অসম্ভব। উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেছেন, বারাসাত, মধ্যমগ্রাম এর ট্রেনের স্টপেজ দেওয়া না হলে দুই অঞ্চলের মধ্যবর্তী কোনও স্টেশনে ট্রেন থামবে না। তেমন সংশ্লিষ্ট ২ স্টেশনের দুই প্রান্তে ১০ কিলোমিটার দূরত্ব ধরলে দমদম ক্যান্টনমেন্ট থেকে বিড়া পর্যন্ত কোনও স্টেশনের ট্রেন থামানো যাবে না। সেটা সম্ভব নয়। এভাবে লোকাল ট্রেন পরিষেবা ব্যাহত হবে।

আরও পড়ুন:করোনা সংক্রমণের প্রমাণ নেই, নির্দেশ মেনে সিবিআই দফতরে এনামুল