আত্মহত্যায় প্ররোচনা মামলায় শীর্ষ আদালতে জামিন পেলেন অর্ণব গোস্বামী

বম্বে হাইকোর্টে জামিনের আবেদন খারিজ হয়ে গেলেও, শীর্ষ আদালতে জামিন পেয়ে গেলেন আত্মহত্যায় প্ররোচনা মামলায় অভিযুক্ত অর্ণব গোস্বামী। শুধু অর্ণব নন অর্ণবের সঙ্গে আরও দুই অভিযুক্তকে এদিন জামিন দিয়েছে শীর্ষ আদালত। এর পাশাপাশি জেল প্রশাসন ও কমিশনারকে শীর্ষ আদালতের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তারা যেন দু’দিনের মধ্যে অর্ণবের মুক্তির ব্যবস্থা করে।

এদিন শীর্ষ আদালতের তরফে জানানো হয়েছে যদি তারা নিম্ন আদালতে জামানতের অর্থ প্রয়োগ করার কথা বলতেন তাহলে দু’দিন আরও সময় লাগতো যে কারণে ৫০ হাজার টাকার ব্যক্তিগত মুচলেকা সরাসরি জেলা প্রশাসনের কাছে জমা করতে বলা হয়েছে। নিশ্চিত ভাবেই আদালতের এই রায়ের স্বস্তিতে রিপাবলিক টিভির সঞ্চালক অর্ণব গোস্বামী। বুধবার শীর্ষ আদালতে এই মামলার শুনানি করেন বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় ও বিচারপতি ইন্দিরা ব্যানার্জীর ডিভিশন বেঞ্চ। শুনানি চলাকালীন বিচারপতি চন্দ্রচূড় জানান, ‘যদি আদালত এই মামলায় হস্তক্ষেপ না করে তাহলে বুঝতে হবে সে ধ্বংসের রাস্তায় এগোচ্ছে। মতাদর্শের ফারাক থাকতে পারে। কিন্তু সাংবিধানিক আদালতকে প্রত্যেকের স্বাধীনতা রক্ষা করতে হবে।’

এদিন শীর্ষ আদালতে জামিনের আবেদনের শুনানিতে অর্ণবের আইনজীবী হরিশ সালভে দাবি করেন, “পুর্নতদন্তের নির্দেশে ক্ষমতার অপব্যবহার করা হয়েছে।” তিনি বলেন, “কোন যুক্তিতে রিপাবলিক টিভির এডিটর-ইন-চিফের বিরুদ্ধে আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলা রুজু হয়েছে?”

মহারাষ্ট্র সরকারের হয়ে এদিন আইনজীবী কপিল সিব্বলের সওয়ালের মধ্যে বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় বলেন, “৩০৬ ধারার অন্তর্গত প্ররোচনা মামলায় আত্মহত্যার ক্ষেত্রে প্রকৃত প্ররোচনার থাকতে হয়। কেউ অন্যজনের থেকে টাকা পাবেন, এবং তিনি আত্মহত্যা করলেন, তাহলে সেটা কীভাবে আত্মহত্যায় প্ররোচনা হবে?” বিচারপতি চন্দ্রচূড় এবং বিচারপতি ইন্দিরা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বেঞ্চ আরও বলেন, “আমরা ধরে নিচ্ছি যে FIR-এ যা অভিযোগ করা হয়েছে, তা ধ্রুবসত্য, তারপরও কি এক্ষেত্রে ৩০৬ ধারার মামলা করা যায়? এখানে দেখা যাচ্ছে, অভিযুক্ত অর্থ মেটাননি আত্মঘাতীকে৷ ওই কারনেই আত্মহত্যা করেছেন। এর মানে প্ররোচনা দেওয়া হতে পারে কি ? আর সেই কারনেই যদি কাউকে জামিন না দেওয়া হয়, তাহলে সেটা কি বিচারের নামে প্রহসন নয়?”

আরও পড়ুন:মেয়াদ বাড়ছে বাস-অটো-মিনিবাসের ফিটনেসের, বেশি ট্রেন চালানোর প্রস্তাব: মুখ্যমন্ত্রী

প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে এক ইন্টিরিয়র ডিজাইনার অন্বয় মালিক এবং তাঁর মা কুমুদ মালিকের আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলায় অর্ণবের অন্তর্বর্তীকালীন জামিনের আর্জি খারিজ করেছিলো বম্বে হাইকোর্ট৷ একইসঙ্গে জামিনের জন্য নিম্ন আদালতে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। সেই রায় চ্যালেঞ্জ করেই সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেন অর্ণব। বুধবার সেই মামলায় শীর্ষ আদালতের তরফে জামিন পেলেন তিনি।

Previous articleমেয়াদ বাড়ছে বাস-অটো-মিনিবাসের ফিটনেসের, বেশি ট্রেন চালানোর প্রস্তাব: মুখ্যমন্ত্রী
Next articleটেট উত্তীর্ণদের দু’মাসের মধ্যে নিয়োগ, নবান্নে ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর