বিজেপিকে ঠেকাতে দরকারে মমতার হাত ধরতে হবে, বিস্ফোরক লিবারেশন নেতা দীপঙ্কর

বিজেপিকে ঠেকাতে প্রয়োজনে তৃণমূলের সঙ্গে হাত মেলাতে হবে। তৃণমূলকে পছন্দ করি না বলে অপছন্দের বিজেপিকে বাড়তে দেব, তা হয় না। বাংলার বামপন্থীদের সমস্যা হলো তাঁরা জাতীয় রাজনীতির প্রেক্ষাপটে রাজ্য রাজনীতিকে দেখতে চাইছেন না। লিবারেশন নেতা দীপঙ্কর ভট্টাচার্যর এই অবস্থানে বেজায় চটেছে বাংলার সিপিএম। বঙ্গ সিপিএমের একপক্ষ বলছে, একুশের ভোটের কথা মাথায় রেখে এটা আসলে চাপের খেলা। দীপঙ্কর বস্তুত বাংলায় আসন রফা করতে এই পথ নিয়েছেন। আবার অন্য পক্ষের মন্তব্য, বিহারে বামেদের সাফল্য দেখে যদি বাংলার বামেদের জ্ঞানচক্ষু না খোলে তাহলে বামেদের ভোট ৭% থেকে ৩% তে নেমে আসবে।

বিহার ভোটে সিপিআইএম লিবারেশনের চোখে পড়ার মতো ভাল ফল হওয়ার পর এক সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন লিবারেশন সম্পাদক দীপঙ্কর ভট্টাচার্য। বিহারের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলার ভোটের প্রশ্ন উঠে আসে স্বাভাবিকভাবেই। সে প্রসঙ্গে দীপঙ্করের মন্তব্য, বাংলায় বামেরা লড়াইটা করছে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে। যার সুযোগ পাচ্ছে বিজেপি। আমাদের অবস্থান হলো, কংগ্রেস বা তৃণমূলের সঙ্গে যাওয়ার প্রশ্নে কোনও ছুৎমার্গ থাকা উচিত নয়। কারণও খুব পরিষ্কার। দেশের গণতন্ত্র ও মানুষের পয়লা নম্বর শত্রু বিজেপি। তাদের সঙ্গে তৃণমূল বা কংগ্রেসকে ব্র‍্যাকেট করা ঠিক হবে না।

যথারীতি দীপঙ্করের এই অবস্থানে বিরক্ত বঙ্গ সিপিএম। তাদের বক্তব্য, দীপঙ্কর তাত্ত্বিক, ভাল ছাত্র হতে পারেন। কিন্তু বাংলার রাজনীতি সম্বন্ধে জ্ঞান কম। যদিও রাজ্যে বামফ্রন্টের যে ১৭ দলের জোট রয়েছে তাতে লিবারেশন রয়েছে। বছর কয়েক আগে দীপঙ্কর বাম ব্রিগেডের অন্যতম বক্তাও ছিলেন। সেখানে দাঁড়িয়ে প্রকাশ্যে দীপঙ্করের বিরোধিতাও করা যাচ্ছে না। কারণ, রাজ্যে প্রবল প্রতাপশালী সিপিএম বা বামফ্রন্টকে এখন প্রান্তিক দল হিসাবেই দেখছেন বিশেষজ্ঞরা।

আরও পড়ুন:Breaking: ভুয়ো ‘নারায়ণকে’ মঞ্চে? নন্দীগ্রামে এ কী করলেন পূর্ণেন্দু বসু?

Previous articleরং, তুলির টানে বাদনাকে স্বাগত, সাজো সাজো রব জঙ্গলমহলে
Next articleলোকাল ট্রেন চালু হতেই করোনাবিধি উধাও, বাড়তি ট্রেনের দাবি নিত্যযাত্রীদের