অধীরে অসন্তোষ, চূড়ান্ত ক্ষুব্ধ সোমেনপুত্ররা কী ভাবছেন?

সোমেন মিত্রের প্রয়ানের পর নতুন সভাপতি হয়ে অধীর চৌধুরী তাঁদের বাড়ি গিয়েছিলেন বটে, কিন্তু ভাঙা কাঁচ জোড়া লাগার নয়।

সোমেনবাবুর স্ত্রী শিখা মিত্র এবং পুত্র রোহন চরম ক্ষুব্ধ দলের উপর। সেটা গোপনও থাকছে না। উত্তর 24 পরগণার কংগ্রেস বিধায়কের দলত্যাগ নিয়ে টুইটে কংগ্রেস নেতৃত্বের সমালোচনা করেছেন রোহন। এমনকি তৃণমূলের বেচারাম মান্নার ক্ষোভ নিয়ে প্রকাশ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পক্ষেই দাঁড়িয়েছেন তিনি। ফলে জল্পনা তুঙ্গে।

আরও পড়ুন : ‘পালটি’ খেলেন নীতীশ, ‘ওকথা আমি বলিনি’

উল্লেখ্য, সোমেন মিত্র যখন কংগ্রেস থেকে তৃণমূলে যান তখন অন্যতম মূল ভূমিকা ছিল শিখা মিত্রর। পরে তিনিও তৃণমূলের বিধায়ক হন। অনেক পরে তাঁদের মধ্যে দূরত্ব হয়। সোমেন, শিখারা কংগ্রেসে ফিরে যান। তবে 2009 থেকে 2011, পরিবর্তনের সময়ে মমতার পাশেই ছিলেন সোমেনবাবু।

এদিকে একসময়ে অধীর চৌধুরীর উত্থান সোমেনের হাত ধরে হলেও পরে দূরত্ব সৃষ্টি হয়। এখনও সেই পর্ব চলছে।

সূত্রের খবর, রোহনকে পদ দেওয়া হলেও তাঁকে সুদূর বাঁকুড়ার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। যেখানে রোহনের তেমন কিছু করার নেই। পাশাপাশি উত্তর কলকাতা জেলা কংগ্রেস সভাপতি পদ থেকে সোমেনবাবুর স্নেহধন্য অমিত ঘোষকে সরানো হয়েছে। যেহেতু সোমেনের মূল জায়গা ছিল উত্তর ও মধ্য কলকাতা, তাই এখানে অপমানিত বোধ করেছে সোমেনশিবির।

আরও পড়ুন : উত্তরে শিবাজীর হাত শক্ত করে সুদীপকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেললেন দিলীপ

সোমেনবাবুর প্রয়াণের পর শিখাদেবী শোকাহত। রোহনও। তাঁরা একটু গুটিয়ে রাখছেন নিজেদের। কিন্তু রোহনের পরের পর টুইটে বোঝা যাচ্ছে তিনি কংগ্রেসের উপর চটেছেন এবং মমতার প্রতি শ্রদ্ধাশীল। ফলে নতুন করে ভবিষ্যৎ সমীকরণ নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে। শিখাদেবী এখনই সক্রিয় রাজনীতি না করলেও রোহন কি বিকল্প চিন্তাভাবনার পথে? বাড়িতে মাকে আগলে রাখছেন রোহন। যা করবেন মায়ের সম্মতি নিয়েই করবেন।

Previous articleমানুষ দ্বিতীয়বারও সুযোগ দেয়! বিহার নির্বাচন নিয়ে মুখ খুললেন সোনু সুদ
Next articleঅর্ণবের জামিনের বিরোধিতায় কুণালের বিরুদ্ধে মামলা, ‘ক্ষমা চাইব না’ পাল্টা হুঁশিয়ারি