কপিরাইট আইনের গেরোয় অমিত শাহের টুইটার অ্যাকাউন্টও!

বিদেশে কপিরাইট আইনের কড়াকড়ি খুব। সেই আইনের গেরোয় বিদেশি সংস্থা টুইটার সাময়িকভাবে উড়িয়ে দিয়েছিল ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রোফাইল পিকচার। বৃহস্পতিবার হঠাৎই দেখা যায়, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের অফিসিয়াল টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে উধাও তাঁর প্রোফাইল পিকচারটি। এনিয়ে শোরগোল শুরু হতেই টুইটার কর্তৃপক্ষ জানায়, কপিরাইট আইন অনুযায়ী ব্যবহৃত ছবিটির কপিরাইটের স্বত্ত্ব নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় সাময়িকভাবে সেটি লক করা হয়েছিল। তবে বিজেপির অনেকেই উষ্মা উগরে দিয়ে বলেছেন, এত বড় সাহস হয় কী করে যে দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর অফিসিয়াল অ্যাকাউন্ট থেকে না জানিয়ে ছবি সরিয়ে নেবে! যদিও বিশেষজ্ঞদের একাংশের বক্তব্য, আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে কপিরাইট আইন খুবই কড়াভাবে মানা হয়। এদেশে এখনও সেই সংস্কৃতি না থাকায় বিষয়টি নিয়ে হইচই হচ্ছে। টুইটার কর্তৃপক্ষ এই আইন কড়াভাবে প্রয়োগ করতেই বিপত্তি হয়েছে। কপিরাইট আইন অনুযায়ী, যে ব্যক্তির ছবি ব্যবহার হচ্ছে তাঁর নয়, বরং যিনি সেই ছবি তুলেছেন তাঁরই ব্যবহারের স্বত্ত্ব রয়েছে।

আরও পড়ুন:রেট্রো লুকে টিম ইন্ডিয়া, অস্ট্রেলিয়ায় কপিল আমলের জার্সি ফিরছে বিরাটদের জন্য

তবে এই ঘটনার পিছনে অন্য রাজনীতির গন্ধ পাচ্ছেন অনেকেই। আর তা হল, কিছুদিন আগে বর্তমান কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল লাদাখের রাজধানী লেহকে জম্মু-কাশ্মীরের অংশ হিসাবে দেখিয়েছিল টুইটার। তাতে প্রবল আপত্তি জানিয়ে গত ৯ নভেম্বর টুইটার কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেয় কেন্দ্রীয় সরকার। এর আগেও লেহকে চিনের অংশ হিসাবে দেখানোর মারাত্মক ভুল করেছিল এই সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থা। কেন্দ্রের পক্ষ থেকে টুইটার কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে, এইসব ভুল ভারতের সার্বভৌমত্বের উপর আঘাত। কোনও সংস্থা যদি ভারতের অখণ্ডতাকে চ্যালেঞ্জ করে তবে তা বরদাস্ত করা হবে না। ঘটনাচক্রে, টুইটার কর্তৃপক্ষকে কেন্দ্রের এই কড়া চিঠির পরপরই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর ছবি টুইটার থেকে উবে যাওয়ায় বিষয়টি নতুন মাত্রা পেয়েছে।

Previous articleরেট্রো লুকে টিম ইন্ডিয়া, অস্ট্রেলিয়ায় কপিল আমলের জার্সি ফিরছে বিরাটদের জন্য
Next article‘পালটি’ খেলেন নীতীশ, ‘ওকথা আমি বলিনি’