আদালতের নির্দেশকে বুড়ো আঙ্গুল, কালীপুজোর আগেই বাজিসহ গ্রেফতার একাধিক

পুলিশ-প্রশাসনের তরফে এবছর কালীপুজো এবং দীপাবলিতে বাজি বিক্রি এবং পোড়ানো বন্ধ রাখার অনুরোধ করা হয়েছে। আদালতের নির্দেশ অমান্য করে বাজি পোড়ালে বিপর্যয় মোকাবিলা আইনে সর্বোচ্চ ২ বছরের সাজা হতে পারে বলেও প্রচার করা হচ্ছে। বাজি রুখতে তৎপর লালবাজারও। আতশবাজি নিয়ে কোনও অভিযোগ থাকলে, ডায়াল ১০০ এবং ৯৪৩২৬১০৪৪৪ নম্বরে ফোন করার আবেদন জানানো হয়েছে কলকাতা পুলিশের তরফে।

তবে এসব নিয়ে একাংশের বিশেষ হেলদোল নেই। কলকাতা পুলিশ সূত্রে খবর, শুক্রবার রাতে কসবা, রিজেন্ট পার্ক এবং উল্টোডাঙা থানা এলাকা থেকে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়েছে। শনিবার, কালীপুজোর দিন সকালেও বাজি সমেত গ্রেফতার করা হয়েছে একজনকে।

আরও পড়ুন : বাজি-বন্ধে কড়া কলকাতা পুলিশ, বিস্ফোরক আইনের প্রয়োগ

শনিবার ৯০ কেজি শব্দবাজি সহ এক ব্যক্তিকে আটক করে ফুলবাগান থানার পুলিশ। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে, অভিযুক্ত শিবু দাসের দোকানে হানা দেয় ফুলবাগান থানার পুলিশ। সেখান থেকেই উদ্ধার করা হয় ৯০ কেজি শব্দবাজি।

এর আগে, শুক্রবার রাতে বাজি সমতে গ্রেফতার করা হয় ২৭ বছরের এক যুবককে। ধৃত ব্রজেন মিস্ত্রি, কসবা থানা এলাকার জিএস বোস রোডের বাসিন্দা। ধৃতের কাছে থাকা দুটি ব্যাগ থেকে প্রায় ২৮ কেজি শব্দ বাজি উদ্ধার করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। তাঁর কাছে কোনও বৈধ কাগজপত্রও ছিল না বলে জানিয়েছে পুলিশ।

অন্যদিকে, বাজি বিক্রি করার অভিযোগে রিজেন্ট পার্ক থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে ২৮ বছরের যুবককে। পুলিশ সূত্রে খবর, তাঁর দোকান থেকে তিনটি ব্যাগ ভর্তি প্রায় ১০০ কিলোগ্রাম বাজি উদ্ধার করা হয়েছে। ধৃত আশিস সাউ, নরেন্দ্রপুর থানা এলাকার মন্ডল পাড়ার বাসিন্দা। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রিজেন্ট পার্ক থানা এলাকার শীতলা পার্কের কাছে বাজি বিক্রি করছিল আশিস। তখনই পুলিস চুপিসারে ফাঁদ পেতে তাঁকে হাতে নাতে ধরে।

এরই পাশাপাশি, উল্টোডাঙা থানা এলাকা থেকেও বাজি বিক্রির জন্য এক ব্যক্তিকে পাকড়াও করেছে পুলিশ। বছর বিয়াল্লিশের গোপাল দাস, উল্টোডাঙার বাসন্তী কলোনিতে বাজি বিক্রি করছিলেন।

আরও পড়ুন : মায়ের ভোগে শোল মাছ আবশ্যিক, তন্ত্র সাধনার তারাপীঠে ভক্তের ঢল

ধৃতদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে শব্দবাজি আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, কোভিড পরিস্থিতিতে জনস্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে এবছর, সব ধরনের বাজি বিক্রি এবং পোড়ানো নিষিদ্ধ করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। তবে সেই নির্দেশের পরও রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বাজি কেনাবেচা পুরোপুরি বন্ধ করা যায়নি। কালীপুজোর আগেই এতজনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। এখন দেখার পুজোর দিনে সংখ্যাটা কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়।

Previous article১০ বছর ধরে ভিক্ষুক এক পুলিশ কর্তা, ডিএসপি সাহায্য করতে গিয়ে দেখলেন নিজেরই ব্যাচমেট
Next articleলকডাউনের জের, চাকরি খুইয়ে ‘ক্যাপ্টেন কর্নার’ এর মালিক বিমান সংস্থার কর্মী