মায়ের ভোগে শোল মাছ আবশ্যিক, তন্ত্র সাধনার তারাপীঠে ভক্তের ঢল

সতীপীঠ নয়। তারাপীঠ আসলে তন্ত্র সাধনার পীঠস্থান। আজ, দীপান্বিতা কালীপুজোয় শ্যামা রূপে পূজিতা হন মা-তারা। কথিত আছে, আজকের দিনে মা তারা কাউকে খালি হাতে ফেরান না। আর এই বিশ্বাসে ভর করেই তারাপীঠে ভক্তের ঢল। দ্বারকা নদের পাশে প্রসিদ্ধ শ্মশানে স্নান করে তন্ত্র সাধনায় নিজেদের নিয়োজিত করে তান্ত্রিকের দল। এছাড়াও সাধারণ পুণ্যার্থী ও দর্শকরাও তারা মায়ের আরাধনায় সকাল থেকেই ভিড় জমিয়েছেন মন্দির চত্বরে।


সেজে উঠেছে বিগ্রহ। আজ ভোর সাড়ে ৫ টায় মঙ্গল আরতি হয়েছে। তারপর থেকেই শুরু হয়েছে গর্ভগৃহে দর্শন। দুপুর ১.৩৮ এ অমাবস্যা পড়েছে। তারপর থেকে পুজো চলবে সারাদিন রাত। রাত ১০ টায় অমাবস্যার নিশি পুজো অনুষ্ঠিত হবে। রাতে বিশেষপুজো। মধ্যরাতে শয়ন।

দুপুর ১টা থেকে শুরু হয়েছে ভোগ নিবেদন। পঞ্চব্যঞ্জনের এই ভোগে রয়েছে পাঁচ ভাজা, পোলাও, খিচুড়ি, শোল মাছ, মিষ্টি। তারা মায়ের আজকের ভোগে শোল মাছ আবশ্যিক। ভোগ রান্নার দায়িত্বে ২০ জন ঠাকুর।

তবে সবকিছুই হচ্ছে কোভিড প্রোটোকল মেনে। করোনা পরিস্থিতিতে বাধ্যতামূলক মাস্ক। মুখে মাস্ক পরেই পুজো করছেন পুরোহিতরা। তারামাকে ভোগ দেওয়ার জন্য মূল মন্দিরে ভোগ নিয়ে যাচ্ছেন সেবায়েতরা। তাঁদের মুখেও মাস্ক বাধ্যতামূলক। করোনা পরিস্থিতিতে ভিড় নিয়ন্ত্রণে সতর্ক রয়েছে প্রশাসন থেকে মন্দির কর্তৃপক্ষ।

আরও পড়ুন:সচেতনতার বার্তা দিয়ে রাজ্যবাসীকে কালীপুজো-দীপাবলির শুভেচ্ছা মুখ্যমন্ত্রীর

Previous articleফের এক মারণ মিসাইলের সফল পরীক্ষা ভারতের, নির্ভুল লক্ষ্যে ধ্বংস করল বিমান
Next article১০ বছর ধরে ভিক্ষুক এক পুলিশ কর্তা, ডিএসপি সাহায্য করতে গিয়ে দেখলেন নিজেরই ব্যাচমেট