“শিল্পী হয়ে উঠতে পারেন রাষ্ট্রনেতার চেয়েও জনপ্রিয়”, সৌমিত্রর অন্তিম যাত্রা নিয়ে তসলিমা

আর নেই সৌমিত্র। এই কথাগুলি বলা কিংবা লেখা বেশ কঠিন। বাংলা চলচ্চিত্র, বাংলা নাটক, বাংলা সংস্কৃতি যত দিন থাকবে, ততদিন স্বমহিমায় বাঙালির হৃদয়ে বিরাজ করবেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। যিনি নিজেই একটা যুগ। নিজেই একটি প্রতিষ্ঠান।

কিংবদন্তি সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের জীবনাবসানের সঙ্গে সঙ্গে বাঙালির সংস্কৃতি-চলচ্চিত্রের একটি সোনার অধ্যায়ের অবসান হলো। ফেলুদার ফাইট হোক কিংবা ক্ষিদ্দার লড়াই, ৮৫ বছর বয়সেও করোনাকে হার মানিয়েছিল। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। আপামর বাঙালি অপরাজিত অপুর ঘরে ফেরার আশায় বুক বেঁধেছিল, কিন্তু সকলকে কাঁদিয়ে কালের নিয়মে পঞ্চভূতে বিলীন হয়ে গেলেন কিংবদন্তি।

দীপাবলির উৎসবের মাঝে নিভে গিয়েছে দীপ। এক মহা নক্ষত্রের পিতনে শোকস্তব্ধ বাঙালি। হৃদয় ভেঙেছে সাধারণ মানুষ থেকে রাজনীতিবিদ, চোখের জলে সিক্ত রাজপথ।

শহরের বুক চিড়ে কিংবদন্তি সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের অন্তিম যাত্রা হৃদয়ের গভীরে জায়গা করে নিয়েছে বাংলাদেশের লেখিকা তসলিমা নাসরিনের।”

সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে সৌমিত্রর অন্তিম যাত্রা নিয়ে লেখা তাঁর শেষ পংক্তিতে কলকাতার আবেগ-আন্তরিকতাকেই যেন তুলে ধরলেন তসলিমা।

আরও পড়ুন:একটু পরেই শপথ নীতীশের, থাকছেন শাহ, নাড্ডা

ফেসবুকে তসলিমা লিখছেন—

“কলকাতার দোষ অনেক, কিন্তু কিছু গুণ সব দোষ আড়াল করে দেয়।

একজন অভিনেতা, নেতা নন, অভিনেতা,—তাঁকে যেভাবে আজ সম্মান দেখালো কলকাতা — তার তুলনা হয় না।

কবিতা পড়ে, গান গেয়ে, ফুলে ফুলে সাজিয়ে, চোখের জলে ভিজিয়ে প্রিয় শিল্পীকে যেভাবে বিদেয় দিল কলকাতা — তার তুলনা হয় না।

করোনার ঝুঁকি নিয়ে কলকাতা যেভাবে প্রাণের টানে রাস্তায় নেমেছে শিল্পীকে শ্রদ্ধা জানাতে— তার তুলনা হয় না।

শিল্পী হয়ে উঠতে পারেন রাষ্ট্রনেতার চেয়েও জনপ্রিয়, এখানেই কলকাতা অনন্য।

এ কারণেই হয়তো আজও কলকাতা দরিদ্র হয়েও ধনী, এ কারণেই হয়তো আজও কলকাতাকে লোকে বলে ভারতবর্ষের সবচেয়ে প্রগতিশীল শহর।”

Previous articleএএফসির ক্লাব লাইসেন্সিং পরীক্ষায় পাশ এটিকে-মোহনবাগান , ব্যর্থ ইস্টবেঙ্গল 
Next articleআইপিএল ২০২১ : এই তিন ক্রিকেটারকে ছেঁটে ফেলতে পারে কেকেআর