NIA-র বিশেষ আদালতে সোমবার তোলা হচ্ছে লস্কর জঙ্গি মুন্নাকে

নানান পন্থা অবলম্বন করে বারবার তদন্তকারীদের জাল ছিড়ে পালানোর পর, গত সপ্তাহে কর্ণাটক থেকে গ্রেপ্তার হয়েছে লস্কর জঙ্গি সৈয়দ ইদ্রিস নবি সাব ওরফে মুন্না। সোমবার এনআইএর বিশেষ আদালতে তোলা হচ্ছে এই জঙ্গিকে।

গত মঙ্গলবার কর্নাটকের সিরসি থেকে মুন্নাকে গ্রেফতার করে কলকাতার এনআইএ। এরপর শুক্রবার ট্রানজিট রিমান্ডে কলকাতায় আনা হয় তাকে। পরদিন এনআইএর বিশেষ আদালতে অভিযুক্তকে তোলা হলে তাকে জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেয় আদালত। আজ, সোমবার তাকে ফের এনআইএ-র বিশেষ আদালতে তোলা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। ইতিমধ্যেই তাকে জেরা করার পর একাধিক তথ্য হাতে পেয়েছে গোয়েন্দা বিভাগ। যে পন্থায় তদন্তকারীদের চোখে এতদিন ধুলো দিয়ে পালিয়েছিল মুন্না প্রকাশ্যে এসেছে সে তথ্যও। জানা গিয়েছে পাঁচ বছর ধরে জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত থাকাকালীন ত্রিশটিরও বেশি সিম কার্ড পরিবর্তন করেছে এই জঙ্গি। যার ফলে বারবার বিভ্রান্ত হতে হয়েছে তদন্তকারীদের। শুধু তাই নয় যে মোবাইলে সিম কার্ড ব্যবহৃত হতো তদন্তকারীদের বিভ্রান্ত করতে জনবহুল অঞ্চল ফেলে দিয়ে আসতো সেই মোবাইল।

গোয়েন্দা সূত্রে খবর, গত মার্চ মাসে ধরা পড়ে বাদুড়িয়ার তরুণী জঙ্গি তানিয়া পরভিন। লস্করের এই জঙ্গি বিভিন্ন হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের মাধ্যমে সংগঠনের অন্যান্য জঙ্গিদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখত। তালিকায় ছিল লস্কর, আল কায়দা, জামাতুল মুজাহিদিন, আনসার উল ইসলামের মতো জঙ্গি সংগঠনগুলো। আর এই সমস্ত জঙ্গি সংগঠন পরিচালিত হতো পাকিস্তানের আইএসআই এর মদতে। এই গ্রুপ থেকেই খোঁজ পাওয়া যায় লস্কর জঙ্গি মুন্নার।

আরও পড়ুন:ও কোনওদিন মরবে না। সারাজীবন আমাদের মধ্যে দিয়ে বেঁচে থাকবে : সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়

গোয়েন্দা সূত্রে জানা গিয়েছে, হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের মাধ্যমে কর্নাটকের প্রত্যন্ত এলাকার যুবকদের জঙ্গি সংগঠনে যোগ দেওয়ার জন্য প্ররোচিত করত মুন্না। তারা একাধিক মোবাইল ও নানা জিনিসপত্র বাজেয়াপ্ত করার পর এ বিষয়ে বিশদ তথ্য হাতে এসেছে গোয়েন্দাদের। মুন্নার সূত্র ধরে দেশের নানা প্রান্তে গা ঢাকা দিয়ে থাকা আরও একাধিক জঙ্গির খোঁজ মিলবে বলে আশা করছে এনআইএ।

Previous articleও কোনওদিন মরবে না। সারাজীবন আমাদের মধ্যে দিয়ে বেঁচে থাকবে : সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়
Next articleসারদা, নারদায় ইডির বৈঠক, কয়লাপাচারে সক্রিয় সিবিআই