দলাদলি, ঠেলাঠেলির বিতর্কে না গিয়ে জেলার এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে একেকদিন মর্নিং ওয়াক চালিয়ে যাচ্ছেন কোচবিহারের তৃণমূল যুব সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক। মঙ্গলবার সাতসকালে তাঁকে দেখা গেল দিনহাটা শহরের রাস্তায়।

সেখানে কখনও কোনও প্রৌঢ়াকে আশ্বাস দিলেন, তাঁর ছেলের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবেন। কোথাও পথের ধারে পসরা সাজিয়ে বসা বিক্রেতাকে জানালেন কোনও সমস্যা হলে সরাসরি দিদির কাছে জানানোর ব্যবস্থা করে দেবেন। আবার কখনও সাফাইকর্মীকে ডেকে তাঁর সুখ-দুঃখের খবরাখবর নিয়ে উৎসাহ দিলেন।

আরও পড়ুন : নেতৃত্বের উপর আস্থা নেই, সিপিএম ছেড়ে বিজেপিতে কাউন্সিলর রিঙ্কু! যাদবপুরে প্রার্থী?

এভাবে প্রায় শতাধিক বাসিন্দার সঙ্গে কথাবার্তা বলেন তিনি। এরপরে দিনহাটা পুরসভার চেয়ারম্যান তথা বিধায়ক উদয়ন গুহের বাড়িতে গিয়ে পরামর্শ নিয়েছেন। দলের স্থানীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে বৈঠকও করেছেন। তবে তাঁকে বেশি জোর দিতে দেখা গিয়েছে নানা এলাকায় ঘুরে পথচারী, প্রাতর্ভ্রমণকারীদের ডেকে নানা খোঁজখবর নিতে। বয়স্কদের কাছ থেকে পরামর্শ নিয়েছেন। কারও সমস্যার কথা শুনে তা দলনেত্রীর কাছে জানানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।


ঘটনা হল, কোচবিহারে তৃণমূলের একাংশের মধ্যে মাঝেমধ্যেই মতবিরোধ হয়। কদিন আগে দিনহাটায় তেমন মতবিরোধের জেরে উত্তপ্ত হয়েছিল। বাইক জ্বালানোর ঘটনাও ঘটেছিল। সেখানে তৃণমূলের যুব দলের সদস্য-সদস্যাদের নিয়ে নেতা সাতসকালে হেঁটে হেঁটে জনে জনে নানা খবরাখবর নিচ্ছেন, এই দৃশ্য দেখে বাসিন্দা ও ব্যসায়ীরা অনেকেই স্বস্তিতে।

আরও পড়ুন : বাম-কংগ্রেস হাত মিলিয়েছে, তাই সিপিএম ছেড়ে বিজেপিতে যাচ্ছেন জনপ্রিয় কাউন্সিলর

তৃণমূলের কোচবিহার জেলা যুব সভাপতি জানান, দিদির দূত হিসেবেই তিনি গোটা জেলায় ঘোরার পরিকল্পনা নিয়েছেন। স্থানীয়দের কাছ থেকে যা শুনছেন, জানছেন, বুঝছেন তা নিয়ে রিপোর্ট তৈরি করছেন।
