‘কংগ্রেস আর ভালো না লাগলে অন্য দলে যান’, সিব্বলকে কড়া বার্তা অধীর চৌধুরির

দীর্ঘদিন ধরেই গান্ধী পরিবারকে নিশানা করে তোপ দেগে চলেছেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কপিল সিব্বল৷ সিব্বল নিজেও দলের অন্যতম বড় নেতা৷ গান্ধী- পরিবারের বিরুদ্ধে দফায় দফায় সরব হলেও সিব্বলকে কখনই দলের অন্দর থেকে একাজের জন্য এতখানি কড়া কথা শুনতে হয়নি৷
এবার এবং এই প্রথমবার সরাসরি পাল্টা তোপের মুখে পড়তে হলো সিব্বলকে৷ লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীররঞ্জন চৌধুরি বুধবার স্পষ্টভাবেই সিব্বলকে দল ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার কথা শুনিয়ে দিলেন৷

বিহার ভোটে পরাজয়ের পর কংগ্রেস নেতা তথা সাংসদ কপিল সিব্বল প্রকাশ্যেই বলেছিলেন, পরের পর ভোটে এভাবে তলিয়ে যাওয়ার কারণ খুঁজতে হলে আত্মসমীক্ষা প্রয়োজন। কিন্তু দলের শীর্ষমহল এই কোনও কথাই বলছে না৷ কোনও তাগিদও অনুভব করছেনা৷ এত বড় বিষয় এড়িয়ে যাচ্ছে৷ সিব্বল আগে একাধিকবার বলেছেন, দলের হাই কম্যাণ্ডের কাছে এখন অভিযোগ জানানোও অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে৷

গান্ধী পরিবারের বিরুদ্ধে সিব্বলের এ ধরনের বক্তব্যে দলের অধিকাংশ নেতাই অসন্তুষ্ট৷ কিন্তু দলের তরফে কোনও নেতাই কোনও মন্তব্য করেননি৷ এই প্রথম সরাসরি কপিল সিব্বলকে নিশানা করলেন অধীর চৌধুরি৷ অধীরবাবু ঘোষিতভাবেই গান্ধী পরিবারের আস্থাভাজন৷ রাজনৈতিক মহল বলছে, সিব্বলকে এভাবে কড়া কথা শোনানোর পিছনে গান্ধী পরিবারের সিলমোহর আছেই৷ তা না হলে অধীর চৌধুরির পক্ষে সিব্বলকে একথা বলা সম্ভব হতো না৷ সিব্বলকে অধীর বলেছেন, “কিছু নেতার যদি মনে হয়, কংগ্রেস দল তাঁদের জন্য সঠিক দল নয়, তাহলে তাঁরা নতুন দল গড়তে পারেন, অথবা অন্য কোনও দলকে প্রগতিশীল বলে মনে হলে স্বছন্দে সেখানে যেতে পারেন৷ সেই কাজ না-করে এই ধরনের কথা বলে দলকে বিব্রত না করাই ভালো৷ এতে দলের বিশ্বাসযোগ্যতা নষ্ট হতে পারে।’’

এদিকে বুধবার রাতে দলের শীর্ষনেতাদের নিয়ে জরুরি বৈঠক ডেকেছেন কংগ্রেস চেয়ারপার্সন সোনিয়া গান্ধী৷ কংগ্রেসের অন্দরে জোর জল্পনা, সিব্বলের মতো কিছু ‘বাগী’ নেতাকে দল কোনও বার্তা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে পারে ৷

আরও পড়ুন-বিষয় শহিদের শেষকৃত্য: ফের রাজ্যপালের নিশানায় বাংলার প্রশাসন

Previous articleকবি ভারভারা রাওকে নানাবতী হাসপাতালে চিকিৎসার অনুমতি দিল বম্বে হাইকোর্ট
Next articleচপার কেলেঙ্কারিতে নাম হেভিওয়েট নেতাদের, অস্বস্তিতে কংগ্রেস