ভুটানের ২ কিমি অন্দরে গ্রাম করেছে চিন! অস্বীকার থিম্পুর

একদিকে উত্তর-পূর্বের লাদাখ সীমান্তকে কেন্দ্র করে ভারত-চিন সংঘাত যখন কিছুটা সমাধানের রাস্তায়, ঠিক সেই সময়ে আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠল ভারতের পুরনো ক্ষত ডোকলাম। অতীতে ডোকালামে চিন সেনার রাস্তা তৈরিকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল ভারত-চিন। এবার জানা গেল সেই এলাকা থেকে মাত্র ৯ কিলোমিটার দূরে ভুটানের ভিতরে আস্ত একটি গ্রাম তৈরি করে ফেলেছে চিন। সম্প্রতি এক চিনা সাংবাদিকের টুইটে প্রকাশ্যে আসে এই তথ্য। যা রীতিমতো সাড়া ফেলে দিয়েছে। যদিও পরে ওই টুইটটি মুছে দেন ওই সাংবাদিক। তবে ওই পোস্ট দেখে বিশেষজ্ঞদের অনুমান, ভুটান সীমান্ত থেকে দুই কিলোমিটার ভেতরে ঢুকে ‘পাংদা’ নামের এই গ্রামটি তৈরি করেছে চিন।

এদিকে এ ঘটনার কথা সম্পূর্ণরূপে অস্বীকার করেন ভারতে ভুটানের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল ভেতসপ নামগিয়েল। তিনি জানান, ভুটানের অন্দরে কোনও চিনা গ্রাম নেই। পাশাপাশি চিন ভুটানের মধ্যে কোনওরকম সমঝোতা হয়েছে কিনা সে বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, সীমান্ত নিয়ে তিনি কোনও রকম মন্তব্য করবেন না। তবে ভুটান ও চিনের মধ্যে যে সীমান্ত আলোচনা চলছিল সেকথা কার্যত মেনে নিয়েছেন তিনি। তবে চিনের ওই সাংবাদিকের তরফের যে ছবি টুইট করা হয় তাতে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে নদীর ধারে রাস্তার উপর গড়ে উঠেছে গ্রাম ও ঘরবাড়ি। টুইটারে তিনি লেখেন, নতুন এই গ্রামে আমাদের স্থায়ী বাসিন্দারা রয়েছেন। তবে পরে সেটি ডিলিট করে দেওয়া হলেও বিশেষজ্ঞদের দাবি, শেয়ার করা ওই মানচিত্রে এটা স্পষ্ট যে ভুটানের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন করছে চিন প্রশাসন। মানচিত্র অনুযায়ী ভুটান চিন সীমান্ত থেকে এলাকাটি আড়াই কিলোমিটার ভিতরে। যার অর্থ ভুটানের ১২ শতাংশ জমি দখল করেছে চিন। পাশাপাশি শেয়ার করা ওই ছবি এবং উপগ্রহ চিত্র খতিয়ে দেখে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন গ্রামটির যে অস্তিত্ব হয়েছে সেটা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই।

আরও পড়ুন: হু হু করে বাড়ছে সংক্রমণ, মধ্যপ্রদেশের ৫ শহরে জারি নাইট কার্ফু

তবে শুধু ভুটান নয় ভারতীয় গোয়েন্দা সূত্রে খবর, অন্যান্য প্রতিবেশী দেশগুলির পাশাপাশি ভারতের একাধিক জায়গায় চিনের আগ্রাসন নীতি ক্রমশ বেড়ে উঠেছে। সিকিম, হিমাচল, উত্তরাখণ্ডের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা থেকে মাত্র কয়েক কিলোমিটার দূরে তৈরি করা হচ্ছে বাঙ্কার ও রাস্তাঘাট। সব মিলিয়ে বিশেষজ্ঞদের অনুমান, শুধু ভারত বা ভুটান নয় দক্ষিণ এশিয়ার সমস্ত দেশ গুলিকে চাপের মধ্যে রেখে নিজেদের আধিপত্য বিস্তার করাই মূল লক্ষ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে লালফৌজের।

 

Previous articleমুখ্যমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতির দেড় মাসের মধ্যে হোমগার্ডে নিয়োগ
Next articleআমেরিকায় শপিংমলে এলোপাথাড়ি গুলিতে আহত ৮, পলাতক বন্দুকবাজ