ভোট কাটুয়া ওয়েইসিকে “ভো-কাট্টা” করে তৃণমূলে যোগদান জনপ্রিয় মিম নেতার

বিহার ভোট থেকে শিক্ষা নিয়েছে বাংলার মিম নেতা-সমর্থকরা। বাংলার মাটিতে সাম্প্রদায়িকতার কোনও জায়গা নেই। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরোধিতা থেকে তাঁরা মিম করেননি। কিন্তু এখন বুঝতে পারছেন, মিম আসলে বিজেপিকে সুবিধা করে দিচ্ছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দুর্বল করছে, মিমের উদ্দেশ্য হলো ভোট কাটুয়া হয়ে আখেরে বিজেপির সেতুবন্ধনের কাজ করা। তাই রাজ্যে আসাদউদ্দিন ওয়েইসির আস্ফালন মাটিতে মিশিয়ে তৃণমূলে যোগ দিলেন রাজ্যের প্রাক্তন মিম প্রধান সৈয়দ আনোয়ার হোসেন পাসা। তাঁর দাবি, গোটা রাজ্য থেকে প্রায় লক্ষাধিক মিম কর্মী-সমর্থকরা আজ, তৃণমূলে যোগদান করলেন। এবং যোগদান মঞ্চ থেকে মমতার হাত শক্ত করাই তাঁদের উদ্দেশ।

আরও পড়ুন : উত্তরবঙ্গে শাসকদলের আকচা-আকচি, আইটি অফিস খুলে ফেলল বিজেপি

পাশের রাজ্য বিহার বেশ সাফল্যের পর বেশ আত্মবিশ্বাসী হয়ে বাংলায় ঝাঁপ দেওয়ার চিন্তা-ভাবনা করছিলেন মিম প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়েইসি। একুশের ভোটের বাংলাতেও ঝঁাপাপে মিম। হুঙ্কার দিয়েছিলেন ওয়েইসি। সেই আস্ফালনকে ধুলোয় মিশিয়ে দিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিলেন রাজ্যের মিম প্রধান আনোয়ার পাসা। তাঁর সঙ্গে একাধিক জেলার মিম সদস্যরা তৃণমূলে যোগ দেন।

এদিন তৃণমূল ভবনে মন্ত্রী ব্রাত্য বসু ও মলয় ঘটকের হাত ধরে ঘাসফুল শিবিরে যোগ দেওয়ার পরই মিম এর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ তোলেন আনোয়ার পাসা। তাঁর অভিযোগ, মিম গোটা দেশজুড়ে সাম্প্রদায়িক রাজনীতি করছে। রাজ্যে রাজ্যে গেরুয়া শিবিরের সেতুবন্ধন করছে মিম। বিজেপির সঙ্গে গোপন আঁতাত রয়েছে মিমের। মিমের বাড়বাড়ন্ত হলে পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির হাত শক্ত হবে। রক্তাক্ত কাণ্ড ঘটবে। তাই যে মিমকে তাঁরা এ রাজ্যে পরিচয় দিয়েছিলেন, সেই মিমকেই এদিন রাজ্য থেকে নির্মূল করে দিলেন।

পাশাপাশি আনোয়ার পাসার দাবি, বিহারের পুনরাবৃত্তি চান না। ভোট কাটুয়া মিমের কারণেই মহাজোটের ভোটে ঘাটতি পরেছে। সেই আশঙ্কা আঁচ করেই বাংলা আগে থেকে নিজেদের সামলে নিয়েছেন আনোয়ার পাসারা। ওয়েসির কাছে গিয়ে তাঁরা রাজ্যে সংগঠন চালাবেন বলে জানিয়েছিলেন। কিন্তু বাস্তবে বাংলার ভোটে গেরুয়া শক্তিকে থামাতে গেলে তৃণমূলের হাত তাঁদের ধরতেই হবে বলে দাবি রাজ্যের প্রাক্তন মিম প্রধানের।

আরও পড়ুন : বিজেপির পাঁচ সদস্যের তৃণমূলে যোগদানকে গুরুত্ব দিতে নারাজ বিজেপি

আনোয়ার পাসা বলেন, দেশের সবচেয়ে ধর্মনিরপেক্ষ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত শক্ত করতে হবে।
রাজ্যে বিভেদের রাজনীতি করতে দেওয়া যাবে না। ধর্মে ধর্মে হানাহানির চেষ্টা চালাচ্ছে বিজেপি। সেটা কিছুতেই বাংলায় হতে দেওয়া যাবে না। বাংলা সর্বধর্ম সমন্বয়ে বিশ্বাসী। বিহারে যা হয়েছে তা বাংলায় হতে দেওয়া যাবে না। তাই গেরুয়া শক্তিকে রুখতে মমতার হাত শক্ত করার আহ্বান জানিয়েছেন আনোয়ার পাসা। একমাত্র তৃণমূলই বাংলায় বিভাজনের রাজনীতি থামাতে পারে বলে বার্তা দিয়েছেন তিনি।

Previous articleউত্তরবঙ্গে শাসকদলের আকচা-আকচি, আইটি অফিস খুলে ফেলল বিজেপি
Next articleতৃণমূল নেত্রীর প্রতি আনুগত্য, বৈঠকে জানালেন মালদহ জেলা পরিষদ সভাপতি