তারাতলা ব্রিজ চালু করতে বিজেপির মিছিল ঘিরে হঠাৎ ধুন্ধুমার কাণ্ড

তারাতলা ব্রিজ অবিলম্বে চালু করার দাবিতে বিজেপির বিক্ষোভ। আর তার জেরে বৃহস্পতিবার দুপুরে হঠাৎই অশান্তি ছড়ায় তারাতলায়। পুলিশের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধ বাধে। বেশ কয়েকজন এই ঘটনায় আহত হন। বিজেপির অভিযোগ, বিনা প্ররোচনায় পুলিশ হামলা চালিয়েছে। পাল্টা তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, এটা আসলে ফুটেজ খাওয়ার প্রতিযোগিতা। ভারত বনধের ডাক দিয়েছিল বামেরা। সকাল থেকে তারা ফুটেজে রয়েছে। সেখানে ভাগ বসাতেই এই হুজ্জতি। এতে তৃণমূল কংগ্রেসের কোনও হাত নেই। সরকার আগেই জানিয়েছে, খুব শীঘ্র খুলে যাবে তারাতলা ব্রিজ। তাহলে কেন এই নাটক? আসলে ধ্বংসাত্মক, নেতিবাচক রাজনীতির প্রতিযোগিতা চলছে বিরোধীদের মধ্যে।

আরও পড়ুন : সকাল থেকেই রাস্তায় বনধ সমর্থকরা, শহর-জেলায় বিক্ষিপ্ত অবরোধ

বামেদের ভারত বনধে রাজ্য সরকারের সক্রিয় বাধা না থাকায় অনেক জায়গাতেই বনধের প্রভাব চোখে পড়ে। এর মাঝে হঠাৎই দুপুরে লরিতে করে কর্মী সমর্থকদের নিয়ে এসে তারাতলায় ব্রিজ চালু করার দাবি জানাতে থাকে। সব মিলিয়ে মেরেকেটে শ’দেড়েক কর্মী-সমর্থক ছিলেন। রাস্তা অবরোধ তুলে নেওয়ার অনুরোধ করে পুলিশ। কিন্তু না শোনায় লাঠি চালায়। পাল্টা বিজেপি সমর্থকরা গার্ড রেল, বাইক, স্কুটার ভাঙচুর চালায়। বিনা অনুমতিতে মিছিল ও অবরোধের কারণে সদস্য-সমর্থকদের গ্রেফতার করে বাসে তোলার চেষ্টা হলে ফের পুলিশের সঙ্গে সঙ্ঘর্ষ বাধে। এর মাঝে ঘটনাস্থলে আসেন বিজেপির দিল্লির নেতা কৈলাশ বিজয়বর্গীয়। তাঁর দাবি, বিনা প্ররোচনায় মহিলাদের উপর হামলা চালানো হয়। আহত হয়েছেন অনেকে। কৈলাশের দাবি, যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে তাদের জামিন না দিলে তিনিও গ্রেফতার বরণ করবেন। এ নিয়ে দীর্ঘক্ষণ বাদানুবাদ চলে।

Previous articleরাজধানীর সীমানায় কৃষক বিক্ষোভে অশান্তি
Next articleফের রক্তাক্ত ভূস্বর্গ, শ্রীনগরের কাছে অতর্কিত জঙ্গি হামলায় শহিদ ২ জওয়ান