মালদহের নেতৃত্বকে একযোগে কাজের বার্তা অভিষেকের, বৈঠকে অনুপস্থিত মৌসম, সাবিত্রী

মালদহ জেলার নেতৃত্বকে নিয়ে বৈঠক করলেন তৃণমূলের সাংসদ তথা যুব তৃণমূল সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার, বিকেলে তাঁর ক্যামাক স্ট্রিটের অফিসে এক বৈঠক ডাকেন তিনি। সেখানে জেলার দলীয় নেতৃৃত্বকে সমস্ত রকম ব্যক্তিগত বিভেদ এবং বিতর্ক ভুলে একযোগে কাজ করার বার্তা দেন অভিষেক।

কিন্তু উল্লেখ যোগ্যভাবে ভাবে, এই বৈঠকে অনুপস্থিত ছিলেন মৌসম বেনজির নূর। একই সঙ্গে বৈঠকে আসেননি সাবিত্রী মিত্র-সহ জেলার ৪ নেতা-নেত্রী।

আরও পড়ুন : এক মহিলাকে স্বীকৃতি দেননি অর্জুন, অভিযোগ শশী পাঁজার

২০১৪-র লোকসভা নির্বাচনে মালদহে তৃণমূলের খারাপ ফলের পরে শুভেন্দু অধিকারীকে পর্যবেক্ষক নিয়োগ করা হয়। তাঁর হাত ধরে তৃণমূলে যোগদান করেন গণি-পরিবারের সদস্য কংগ্রেসের প্রাক্তন সাংসদ মৌসম বেনজির নূর। রাজনৈতিক মহলের মতে, মৌসুমকে তৃণমূলে যোগদান করিয়ে গণি-গড়ে ধাক্কা দিয়েছিল রাজ্যের শাসকদল। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে শুভেন্দু অধিকারী মন্ত্রিত্ব ছেড়ে দেওয়ার পরের দিন বৈঠকে মৌসম বেনজির নূরের অনুপস্থিতি নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জল্পনা তুঙ্গে।

যদিও বৈঠকে উপস্থিত কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী সহ অন্যান্য নেতৃত্ব জানান, শুভেন্দু অধিকারী মন্ত্রিত্ব থেকে পদত্যাগের সঙ্গে এই বৈঠকের কোনো যোগ নেই। এই বৈঠক ৪ দিন আগে ঠিক করা হয়। আগামী বিধানসভা নির্বাচনে সমস্ত ভেদাভেদ ভুলে একজোটে কাজ করার বার্তা দিতেই এই বৈঠক ডাকা হয়েছিল বলে জানিয়েছেন উপস্থিত নেতারা।

একই সঙ্গে মৌসমের সচিব জানিয়েছেন, জ্বর হওয়ার কারণে বৈঠকে উপস্থিত থাকতে পারেননি তিনি। অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে বৈঠকে অনুপস্থিত ছিলেন সাবিত্রী মিত্র। যদিও মালদহ জেলায় তাঁর সঙ্গে কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরীর সংঘাত সর্বজনবিদিত। ৪ ডিসেম্বর জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকের কথা আছে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এখন সেই বৈঠকে মালদার নেতাদের জন্য তিনি কী বার্তা দেন সেটাই দেখার।

Previous article৭ই মেদিনীপুরে সভা মমতার, বিধায়কদের কড়া নির্দেশ
Next articleরোশন গিরি পাহাড়ে সভা করলে বাধা দেব কেন? বললেন অনীত থাপা